প্রশাসন ও পুলিশের তৎপরতায় এখনো করোনামুক্ত চারঘাট

মিজানুর রহমান, চারঘাট:
রাজশাহীর জেলার বিভিন্ন উপজেলা প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের সংক্রমন ছড়িয়ে পড়লেও এখনো করনো সংক্রমন মুক্ত উপজেলা হিসেবে চিহিৃত চারঘাট উপজেলা। অন্য উপজেলায় আক্রান্তসহ মৃত্যূর খবর পাওয়া গেলেও এখনো চারঘাটে তেমনটি ঘটেনি। তবে এজন্য অগ্রণী ভুমিকা রেখে চলেছেণ উপজেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও থানা পুলিশ।

ধারাবাহিক ভাবে বাজার মনিটরিং, জনসচেতার জন্য পাড়া মহল্লায় মাইকিং, জরুরী কাজে বাড়ীর বের হলেও সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখা, মসজিদে নামাজের সময় স্বল্প সংখ্যক মুসল্লিদের নামাজ পড়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনায় এখনো চারঘাটে আঘাত হানতে পারেনি নভেল ১৯ করোনা ভাইরাস।

তবে এখনো চারঘাটকে করোনা মুক্ত রাখতে প্রশংসা কুড়িয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা সামিরা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আনিসুর রহমান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ডা: আশিকুর রহমান ও মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সমিত কুমার কুন্ডু।

ইউসুফপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিউল আলম রতন বলেন, জেলা প্রশাসক রাজশাহী জেলাকে লকডাউন ঘোষনার পর থেকে চারঘাটকে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস মুক্ত রাখতে উপজেলা চেয়ারম্যান ফকরুল ইসলাম, নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা সামিরা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আনিসুর রহমান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ডা: আশিকুর রহমান ও মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সমিত কুমার কুন্ডু প্রথম থেকে তৎপর ছিলেন।

উপজেলার প্রবেশ পথ গুলোতে বসানো হয়েছে পুলিশি চৌকি। ফলে বাইরে থেকে চারঘাটে প্রবেশ করতে মুখোমুখি হতে হয়েছে প্রবেশ মুখে বসানো পুলিশের তল্লাসিতে। আবার যারা বের হতে চেষ্টা করেছেন তাদেরও বেগ পেতে হয়েছে পুলিশের চোখ ফাকি দিতে। তার পরেও যারা চারঘাটে প্রবেশ করেছেন তাদের মধ্যে থেকে সন্দেহভাজনদের রাখা হয়েছে হোম কোয়ারেন্টাইনে। এছাড়াও বাজার মনিটরিং, সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখাসহ পাড়া মহল্লায় মাইকিংসহ ধারাবাহিক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করায় আজ চারঘাট করোনা ভাইরাস মুক্ত উপজেলা হিসেবে চিহিৃত হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ডা: আশিকুর রহমান বলেন, উপজেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ, থানা পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় চারঘাটে এখনো করোনা আঘাত হানতেক পারেনি। কোন ব্যাক্তি সন্দেহ জনক হলেই আমরা তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখছিল। এ পর্যন্ত ৫৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েেেছ। ২৩ জন ব্যাক্তির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের স কলেইর নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে।

মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সমিত কুমার কুন্ডু বলেন, লকডাউনে যাতে করে বকাইরে থেকে কোন লোকজন চারঘাটে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য প্রথম থেকেই প্রবেশ মুখে বসানো হয়েছে নিরাপত্তা চৌকি। অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে ধারাবাহিক ভাবে। চায়ের দোকানসহ জনসমাগম এলাকায় টহল জোরদার করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা সামিরা বলেন, লকডাউনের পর থেকে আমরা লোকজনকে সচেতন করাসহ বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় মাইকিং , খাবার পৌছে দেয়াসহ সার্বিক ভাবে করোনা প্রতিরোধে কার্য্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এতে লোকজন সরকারী আইন মেনে চলায় সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখায় চারঘাট আজ করোনা ভাইরাস মুক্ত উপজেলা। তবে এখনো সংকট কেটে যায়নি। তাই চারঘাটবাসীকে সরকারী আইন মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।

স/অ

আরো পড়ুন …

চারঘাটে করোনা সন্দেহে লকডাউনে ৫টি পরিবার