প্রশাসনের অভিযান, নবীগঞ্জে বিপুলপরিমাণ টিসিবি পণ্য জব্দ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী স্থানীয় লালাপুর গ্রামের হাজি হেলিম উদ্দিনের পুত্র নোমান হোসেন অবৈধভাবে টিসিবি সয়াবিন তেলসহ পণ্যসামগ্রী পাইকারি ও খুচরা কালোবাজারে বিক্রি করছেন- এমন অভিযোগে তার কয়েকটি গুদাম ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করে বিপুলপরিমাণ টিসিবি সয়াবিন তেল-চিনিসহ পণ্যসামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। শুধু টিসিবি পণ্যই নয়, তার দোকান থেকে অবৈধ ভারতীয় সিগারেটও উদ্ধার করা হয়। অভিযানে অংশ নেন নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার পাল, নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান, জগন্নাথপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াসির আরাফাত, জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখার চৌধুরীসহ দুই থানার পুলিশ।

জগন্নাথপুর উপজেলার আলীগঞ্জ বাজার গুদাম থেকে জবন্দকৃত পণ্যসামগ্রী মধ্যে রয়েছে টিসিবি’র ৭৩ বস্তা চিনি, ১৯৬ পিস সয়াবিং তেল, চিনি পরিবর্তন করা ৬ বস্তা, চিনির খালি বস্তা ৯টি। ইনাতগঞ্জ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও গুদাম থেকে পাওয়া টিসিবির ৫ লিটার সয়াবিন তেল, টিসিবি, লেভেল ছাড়া চিনির খালি কার্টন ৩টি।

এ সময় নোমান হোসেন এর ভাইসহ পাঁচজনকে আটক করে প্রশাসন। পরে নবীগঞ্জ থানার পুলিশ আটককৃতদের জগন্নাথপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। অভিযান এর খবর পেয়ে নোমান হোসেন পালিয়ে যায়।

আটককৃতরা হলো নোমানের ছোট ভাই আমান হোসেন (৩০), ৪ কর্মচারী জগন্নাথপুর উপজেলার আলীপুর গ্রামের নিতেশ রায়ের পুত্র লিংকন রায় (৩০), নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের তপথিবাগ গ্রামের ছমেদ মিয়ার পুত্র সিরাজ মিয়া (৪০), একই গ্রামের শফিক উদ্দিনের পুত্র আব্দুল কালাম, বটপাড়া গ্রামের কুতুব উদ্দিনের পুত্র আবুল কালাম (৪২)।

নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার পাল জানান, আমাদের কাছে খবর আসে ব্যবসায়ী নোমান হোসেন খোলা বাজারে টিসিবি পণ্য বিক্রি করছেন। সরেজমিনে এসে আমরা সত্যতা পাই। পাশের জগন্নাথপুর থানায় তার একটি গুদাম ঘর থাকায় জগন্নাথপুর উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে বিপুলপরিমাণ টিসিবি পণ্য উদ্ধার করি। জগন্নাথপুর ও নবীগঞ্জ উভয় থানায়ই মামলা করা হবে।

 

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ