প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনের কেন্দ্র হচ্ছে বাংলাদেশ : আইডিসি

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

সরকারের হাইটেক পণ্য উৎপাদন সহায়ক নীতিমালার কারণে গত বছর দেশে ১১ বিলিয়ন ডলার বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) এসেছে।

সরকারের নীতিগত সহায়তা, প্রতিযোগিতামূলক মজুরি কাঠামো এবং অভ্যন্তরীণ বাজারে হার্ডওয়্যার পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশ বিশ্বমানের হার্ডওয়্যার প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনের কেন্দ্র হতে চলেছে। ফলে আগামীতে বাংলাদেশ বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠবে।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক পরামর্শক ও গবেষণা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ডেটা কর্পোরেশন (আইডিসি) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উঠে আসে এমন কথা ।

আইডিসি তথ্য অনুযায়ী, ভারত ও চীনের তুলনায় বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যায় তরুণের সংখ্যা বেশি। দেশে মোট ৮০ মিলিয়ন তরুণ রয়েছে যাদের সময় ২৫ বছরের নিচে।

এছাড়া দেশে সরকারি ও বেসরকারী মিলিয়ে মোট ১২১টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। সেখানে বিপুল পরিমাণ তরুণ পড়াশোনা করছে। ফলে অন্য দেশের তুলনায় কম খরচে দেশ লোকবল পাওয়া যায়।

বাংলাদেশে কোন প্রতিষ্ঠান কারখান করলে প্রতিষ্ঠানটির লোকবল বা শ্রমিকের খরচ ২০ থেকে ৭৫ শতাংশ কম হবে। দেশে গড়ে একজন যন্ত্রাংশ সংযোগকারী শ্রমিকের বেতন ১২০ মার্কিন ডলার বা ১০ হাজার টাকার মতো। যেখানে ভারতে এই খরচ প্রায় ২০০ মার্কিন ডলার বা ১৬ হাজার ৭০০ টাকা।

হার্ডওয়্যার কাঁচামালের আমদানি শুল্ক হ্রাস করা হয়েছে। অফিস ভাড়ার উপর ১০০ শতাংশ ট্যাক্স কমানো ও ক্যাশ ইনসেনটিভ সুবিধা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। যা বাংলাদেশকে বিশ্বব্যাপী হার্ডওয়্যার প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনের কেন্দ্র হতে সহায়তা করছে বলে জানায় আইডিসি।

সংবাদ সম্মেলনে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন,  দেশে ২৮টি হাইটেক পার্ক আগামী দুই বছরের মধ্যে তৈরী হয়ে যাবে। সরকার সেখানে বিদেশী বিনিয়োগ আহ্বান করছে। বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডে পরিণত করতে যে সকল বাধা রয়েছে এবং যেসব ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনা জরুরী সেসব সম্পর্কে সরকার অবগত আছে।

সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিসিজির গ্লোবাল চেয়ারম্যান ড.হান্সপল বার্কনার, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব জুয়েনা আজিজসহ আরো অনেকে।