প্রধানমন্ত্রীর কাছে যেতে ব্যর্থ হচ্ছে নাটোরের জাকিরের আমচিঠি

মঞ্জুরুল আলম মাসুম, বাগাতিপাড়া:
কবুতরের পায়ে চিঠি পাঠানোর দিন কবেই শেষ হয়েছে। কাগজের চিঠির দিনও প্রায় শেষ। এখন চলছে ই-মেইল, ফেসবুকসহ ইন্টারনেটভিত্তিক বার্তার যুগ। তবে নাটোরের লালপুর উপজেলার লক্ষণবাড়িয়া গ্রামের পল্লী চিকিৎসক জাকির হোসেন চিঠি লেখার এই রীতি ধরে রাখার জন্য এক অভিনব উপায় বের করেছেন। তিনি প্রতি বছর আমের মৌসুমে মানুষকে চিঠি লিখে শুভেচ্ছা জানান। তবে এই চিঠি রাজা-বাদশাদের মতো রেশমি কাপড়েও নয়, কাগজেও নয়। তিনি চিঠি লেখেন আস্ত আমের গায়ে। লিখে আমটিই পাঠিয়ে দেন প্রাপকের কাছে। তিনি এর নাম দিয়েছেন ফলের শুভেচ্ছা। তিনি তার সব চিঠির প্রাপককেই লেখেন চিঠিটা পড়া হলে আমটা কেটে খাবেন। শুভেচ্ছাসহ আস্ত একটা আম পেয়ে জাকির হোসেনের প্রিয়জনরা খুশিই হচ্ছেন। বৃহস্পতিবার বিকালে বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন বানুকে একটি আমচিঠি পৌছে দিতে এসেছিলেন তিনি। এসময় এই ব্যতিক্রমী চিঠি প্রসঙ্গে আলাপচারিতায় শৌখিন অথচ অভিনব চিঠির লেখক জাকির হোসেন জানান নানা কথা।

জাকির হোসেন জানান, ১৯৯৯ সাল থেকে প্রতিবছর এভাবে আমের গায়ে মনের কথা লিখে বিলিয়ে দেন প্রিয়জন, বন্ধুবান্ধব লেখক-সাহিত্যিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন এলাকার বিশিষ্টজনদের কাছে। সবুজ আমের বুকে লাল বৃত্ত খচিত বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার সাজে তিনি পাঠান এ আমের চিঠি। প্রতিবছর গাছে আম বড় হওয়ার সাথে সাথে শুরু হয় তার চিঠি লেখার পালা।

কখনও নিজ হাতে আবার কখনও কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেন আমের গায়ে লেখা চিঠি। জাকির হোসেনের শখ ‘আমচিঠি’ তিনি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকেও দিতে চান। প্রতিবছর উদ্যোগ নেন। কিন্তু আমের গায়ে চিঠি লিখে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ঠিকানায় কুরিয়ার সার্ভিসে দিতে গেলে তা কুরিয়ার সার্ভিস গ্রহণ করে না।

আমচিঠি পেয়ে বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী অিিফসার নাসরিন বানু বলেন, জাকিরের এই অদ্ভুত উদ্যোগ আমাকে মুগ্ধ করেছে।

স/শা