ক্ষমতাসীনদের অধীনেই নির্বাচন

প্রধানমন্ত্রীর ওপর নির্ভর করছে নির্বাচনকালীন সরকারের আকার

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :

চলতি বছরের শেষে কিংবা আগামী বছরের শুরুতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার। তবে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাইলে মন্ত্রিসভার আকার আরও বড় কিংবা ছোট করতে পারবেন। এ এখতিয়ার সম্পূর্ণই তার।

সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংবিধানে নির্বাচনকালীন সরকারের আকারের বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা নেই। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী চাইলে যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক ঢাকা পোস্টকে বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার কীভাবে হবে, সে বিষয়ে সংবিধানে কিছুই বলা নেই। যে সরকার আসবে, সে সরকারই দায়িত্বে থাকবে। সরকারের আকার মানে মন্ত্রীদের সংখ্যা বাড়বে নাকি কমবে, সেটা সম্পূর্ণ প্রধানমন্ত্রীর ওপর নির্ভর করবে। তিনি ইচ্ছা করলে কমাতে পারবেন, ইচ্ছা করলে বাড়াতেও পারবেন। কারণ, সংবিধানে তো হ্যাঁ অথবা না কিছুই বলা নেই।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশ স্বাধীনের পর সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিধান ছিল। ১৯৯১ সালে এ ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা হয়। স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে ওই বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

২০০১ ও ২০০৬ সালেও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হয়। এর মধ্যে ২০০১ সালের ১ অক্টোবর অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান ছিলেন লতিফুর রহমান। নির্বাচনে বিএনপি ১৯৩টি আসন পেয়ে সরকার গঠন করে।

এরশাদের পতনের পর বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হন। তিন মাসের মধ্যে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে সব বিরোধী দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে তিনি এ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বা ‘নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় কেয়ারটেকার’ সরকার ব্যবস্থা গঠন করেন। ওই নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে বিএনপি।

১৯৯৪ সালে মাগুরা- ২ আসনের উপনির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ ওঠে। এরপর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করে তীব্র আন্দোলন শুরু করেন। সেই আন্দোলনের অংশ হিসেবে দেশব্যাপী হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়। দীর্ঘ সময় ধরে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়ে, ক্ষতিগ্রস্ত হয় অর্থনীতি আর মানুষের জীবিকা। প্রবল আন্দোলন এবং সহিংসতার মুখে ১৯৯৫ সালের ২৪ নভেম্বর পঞ্চম জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দেওয়া হয়।

শেষ পর্যন্ত মধ্যস্থতার উদ্যোগ নেয় সাবেক ব্রিটিশ কলোনি দেশগুলোর জোট কমনওয়েলথ। সংস্থাটির তরফ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়। সমঝোতার প্রয়াসের অংশ হিসেবে স্যার নিনিয়ান ঢাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দফায়-দফায় বৈঠক করেন। তবে, সে উদ্যোগ আলোর মুখ দেখেনি। শেষ পর্যন্ত কোনো রকম সমাধান খুঁজে না পেয়ে ফিরে যান স্যার নিনিয়ান।

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি সরকারের অধীনে বিতর্কিত ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের সময় শুধুমাত্র বিএনপির নেতারাই মন্ত্রিসভায় ছিলেন। সেই নির্বাচনে ৩০০টি আসনের মধ্যে বিএনপি পেয়েছিল ২৮৯টি আসন। অধিকাংশ বিরোধী রাজনৈতিক দল নির্বাচনটি বর্জন করে।

দেশ স্বাধীনের পর সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিধান ছিল। ১৯৯১ সালে এ ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা হয়। স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে ওই বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

শুরু হয় তীব্র আন্দোলন। সেই আন্দোলনের মুখে ওই বছরের ৩ মার্চ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পরামর্শে সংসদ ভেঙ্গে দেন রাষ্ট্রপতি আব্দুর রহমান বিশ্বাস। পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। প্রধান বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করে গঠিত হয় নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তখন থেকেই স্থায়ী ভিত্তি পায় এ সরকার ব্যবস্থা।

ওই সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয় সপ্তম  জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ১৪৬টি আসনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করে। এটি ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন।

২০০১ ও ২০০৬ সালেও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হয়। এর মধ্যে ২০০১ সালের ১ অক্টোবর অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান ছিলেন লতিফুর রহমান। নির্বাচনে বিএনপি ১৯৩টি আসন পেয়ে সরকার গঠন করে।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দিন আহমদের অধীনে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৩০টি আসন পেয়ে জয়লাভ করে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল

২০০৬ সালে রাজনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে জরুরি অবস্থা জারির পর গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার দুই বছর ক্ষমতায় থাকে। ফলে এ পদ্ধতির দুর্বলতা নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ২০১১ সালের ১০ মে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে রায় ঘোষণা করেন।

ওই রায়ের ভিত্তিতে পঞ্চদশ সংশোধনী করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেই অনুষ্ঠিত হয়। এ দুই নির্বাচন নিয়েও নানা প্রশ্ন ও বিতর্ক রয়েছে।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে মোট ১৪৭টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়। বিএনপি ও এর নেতৃত্বাধীন জোট নির্বাচন বর্জন করে। ১৫৩টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পায় আওয়ামী লীগ ও এর শরিক দলগুলো।

২০১৮ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। তবে, এ নির্বাচন নিয়ে অনেক প্রশ্ন ও বিতর্ক রয়েছে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জোটসঙ্গীরা ২৮৮টি আসন পায়। বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট পায় মাত্র সাতটি। বাকি তিনটি আসন পায় অন্যরা।

dhakapost

কেমন হতে পারে এবারের নির্বাচনকালীন সরকার

সরকারদলীয় গুরুত্বপূর্ণ এক সদস্য নাম প্রকাশ না করে ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত দুবারের মন্ত্রিসভায় অনির্বাচিত (টেকনোক্র্যাট) সদস্যদের নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। এবারও বাদ দেওয়া হতে পারে। এ এখতিয়ার শুধুই প্রধানমন্ত্রীর। বর্তমান মন্ত্রিসভায় টেকনোক্র্যাট কোটায় দুজন মন্ত্রী এবং একজন প্রতিমন্ত্রী আছেন।

তিনি আরও বলেন, বিএনপিসহ বড় দলগুলো যারা সংসদে নেই তারা কিন্তু নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থায় আসতে পারবে না। তবে, সংসদের বিরোধী দল থেকে মন্ত্রিসভায় দু-একজনকে অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে।

যা বলছেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা

নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কোনো রূপরেখার কথা বলেছেন কি না— জানতে চাইলে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘না। সংবিধানে যেভাবে আছে এটি সেভাবেই হবে।

তাহলে প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে আপনাদের কিছুই বলেননি— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না। কাউকে (মন্ত্রী) বলেননি।’ তবে, গত ১৫ মে একটি সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, বাংলাদেশ ওয়েস্টমিনস্টার ধাঁচের গণতন্ত্র অনুসরণ করে। তাই ব্রিটেনে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও সেভাবে করা হবে।

২০০৬ সালে রাজনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে জরুরি অবস্থা জারির পর গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার দুই বছর ক্ষমতায় থাকে। ফলে এ পদ্ধতির দুর্বলতা নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ২০১১ সালের ১০ মে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে রায় ঘোষণা করেন ।

‘এর মধ্যে আমরা এটুকু উদারতা দেখাতে পারি। পার্লামেন্টে সংসদ সদস্য যারা আছেন, তাদের মধ্যে কেউ যদি ইচ্ছা প্রকাশ করেন যে নির্বাচনের সময়ে তারা সরকারে আসতে চান, আমরা রাজি আছি’— বলেন মন্ত্রী।

এদিকে, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কোনো ‘অস্পষ্টতা’ দেখছেন না আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী ওয়েস্টমিনস্টার স্টাইলে, সংসদীয় সরকার ব্যবস্থার মাধ্যমে আমাদের রাষ্ট্র পরিচালিত হয়। সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী যখন মনে করেন যে তিনি একটি ছোট সরকার গঠন করতে চান বা নির্বাচনকালীন সরকার করতে চান, তখন তিনি তা করতে পারেন। আমার মনে হয় এ ব্যাপারে কোনো অস্পষ্টতা নেই।’

নির্বাচনকালীন সরকার কখন গঠন হতে পারে— জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। নির্বাচনকালীন সরকারের আকার কী হবে, সেটি প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। তিনিই এটি ঠিক করবেন।’

সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই জানিয়ে তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের সময় বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন আরেকটি সরকার গঠন করার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই, বাধ্যবাধকতাও নেই। তবে, নির্বাচনকালীন এটা কি ছোট আকারের সরকার হবে, নাকি বর্তমানে যারা মন্ত্রিসভায় আছেন তাদের সবাই থাকবেন, নাকি আমাদের শরিকদের মধ্য থেকে কাউকে নেওয়া হবে— সেগুলো প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। তিনিই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।

মানতে রাজি নয় বিএনপি, অনড় সরকারও

মাঠের বিরোধী দল বিএনপি গত কয়েক বছর ধরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলন করে আসছে। এবারও তারা সরকারের পদত্যাগই চূড়ান্ত এবং এটা ‘এক দফা দাবি’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।

তবে, সরকারও তাদের সিদ্ধান্তে অনড়। নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতাসীনদের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানিয়েছেন সরকারের শীর্ষপর্যায়ের কর্মকর্তারা।

এমন পরিস্থিতিতে সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুই দলের পাল্টাপাল্টি অবস্থানের কারণে দেশে একটি সংকট তৈরি হতে পারে। সংকট সমাধানে রাজনৈতিক দলগুলোকেই এগিয়ে আসতে হবে।

সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেন, ‘বিএনপি বলছে, সরকার পদত্যাগ না করলে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। কিন্তু নির্বাচন তো প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক একটি জিনিস। এক পক্ষ না থাকলে খেলা তো হয় না। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে কী হবে, কী হলে সবাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে— রাজনৈতিক দলগুলোকেই তা ঠিক করতে হবে।’

এ সমস্যা থেকে উত্তরণের উপায় কী— জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা রাজনৈতিক দলগুলোকেই বলতে হবে। যারা সমস্যা তৈরি করেছে, তারাই পথ বের করে দেবে। একজনের সমাধান অন্যজনের কাছে গ্রহণযোগ্য না হলে আমার-আপনার তো কিছুই করার নেই। এটা তাদের তৈরি সমস্যা। সমাধান তাদেরই করতে হবে।’