সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
বড় কয়েকটি ব্যক্তিগত ইনিংসের প্রত্যাশা নিয়ে শনিবার হায়দরাবাদে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শুরুতেই বিপত্তি। প্রথম সেশনে তিনটি উইকেট হারিয়েছে সফরকারীরা।
সকালটা শুরু হতেই ভুল বোঝাবুঝিতে আউট হন তামিম ইকবাল। এর পর ফেরেন মুমিনুল হকও। সাকিব আল হাসানের সঙ্গে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে আউট হন আরেক নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ। ৪৩ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১২৫ রান করে লাঞ্চে গেছে সফরকারীরা।
শুক্রবার দ্বিতীয় দিন ৬ উইকেটে ৬৮৭ রানে ভারত প্রথম ইনিংস ঘোষণা করলে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। প্রথম দিন ১৪ ওভার খেলে ৪১ রানের বিনিময়ে ১ উইকেট হারিয়ে সেই চাপটা আরও বেড়ে যায়। ঘুরে দাঁড়াতে টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে বেশ কয়েকটা ভালো ইনিংসের দরকার ছিল। এজন্য তামিম ও মুমিনুলের ব্যাটের দিকে তাকিয়ে ছিল সফরকারীরা। কিন্তু তারা দুজনই ফেরেন দ্রুত।
দলে তিন রান যোগ হতেই তৃতীয় দিন প্রথম উইকেটের পতন হলো। দিনের তৃতীয় ওভারে ভুবনেশ্বর কুমারের চতুর্থ বলে স্কয়ার লেগে ফ্লিক করেছিলেন মুমিনুল। দৌড়ে একটি রানই যথেষ্ট ছিল। কিন্তু বাঁহাতি ব্যাটসম্যান নিতে গেলেন ২ রান। দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে ক্রিজের মাঝে গিয়ে একটু দ্বিধায় পড়লেন দুজনই। ততক্ষণে উমেশ যাদবের থ্রো থেকে বল হাতে নিয়ে স্ট্যাম্প ভাঙেন ভুবনেশ্বর। নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তে আউট হন তামিম। ৫৩ বলে থামে তার ২৫ রানের ইনিংস। ২৪ রানে দিন শুরু করেছিলেন বাংলাদেশি ওপেনার।
১ রানে খেলতে নেমে মুমিনুলও বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি। মাত্র ১২ রানে উমেশ যাদবের এলবিডব্লিউর শিকার হন তিনি। ৬৪ রানে বাংলাদেশ তিন উইকেট হারানোর পর সাকিবের সঙ্গে মাহমুদউল্লাহর জুটি কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে। কিন্তু ৪৫ রানের এ জুটি ভাঙেন ভারতীয় পেসার ইশান্ত শর্মা। রিভিউ নিয়েও আম্পায়ারের আউটের সিদ্ধান্ত বদলাতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ, ২৮ রানে এলবিডব্লিউ হন তিনি। সাকিবের সঙ্গে ব্যাটিং ক্রিজে আছেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
শুক্রবার প্রথম দিন সৌম্য সরকার ১৫ রানের ইনিংস খেলে আউট হন। তার আগে দ্বিতীয় দিন বিরাট কোহলির ২০৪ ও ঋদ্ধিমান সাহার অপরাজিত ১০৬ রানের সঙ্গে রবিন্দ্র জাদেজার (৬০*) হাফসেঞ্চুরিতে বিশাল স্কোর করে ভারত।
সূত্র : বাংলাট্রিবিউন