প্রত্যেক ভূমিহীনকে ৫ বছরের মধ্যে বাড়ি করে দেয়া হবে

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি বলেছেন, বাংলাদেশের প্রত্যেক ভূমিহীনকে ৫ বছরের মধ্যে বাড়ি করে দেয়া হবে।

ঘরবাড়ি উচ্ছেদ নয়, বরং তা বহাল রাখা হবে। বনও রক্ষা করতে হবে। গাছ লাগিয়ে তা রক্ষা করুন। নতুবা মরুভূমি হবে দেশ।

বন ধ্বংস, উজার বা নষ্ট করা যাবে না। বন বিভাগকে বলব, হাজার হাজার গাছ লাগান, কিন্তু গরিবদের উচ্ছেদ করে নয়। দালালরা বনের জমিতে প্লট তৈরি করে বিক্রি করছে। কমিটি করুন। এদের শায়েস্তা করতে হবে। মন্ত্রী বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক দেশরতœ শেখ হাসিনা দেশ ও জাতির জন্য কি না করেছেন। তার দূরদর্শিতা ও চেষ্টার ফলে দেশজুড়ে উন্নয়নের জোয়ার, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ।

মন্ত্রী মঙ্গলবার বিকালে কালিয়াকৈর উপজেলার পূর্বচান্দরা খেলার মাঠে প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। বনে বসবাসকারীদের স্থাপনা সরিয়ে নিতে মাইকিং করার প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করে কালিয়াকৈর উপজেলা ভূমিহীন ও গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন। পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম তুষারের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ কবীর, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিকদার মোশারফ হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক আবদুল ওহাব মিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সিকদার জহিরুল ইসলাম জয়, অ্যাডভোকেট বেলায়েত হোসেন বাবু প্রমুখ।

উল্লেখ্য, বনের জমিতে ২০-২৫ বছরে গড়ে তোলা ঘরবাড়িতে থাকা ভূমিহীন পরিবারের অর্ধ লক্ষাধিক সদস্যকে উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন বিভাগ। এদিকে কালিয়াকৈর রেঞ্জ এলাকার চন্দ্রা ত্রিমোড়, পূর্বচান্দরা, কালামপুর, সিনাবহ, রাখালিয়াচালা, মৌচাক, ভান্নারা, পল্লীবিদ্যুৎ, কারুল সুরিচালা, রঘুনাথপুর, ফুলবাড়িয়া, কাঁচিকাটা, মাটিকাটা, চাপড়া মসজিদ ও মাটিকাটা রেললাইন এলাকায় গরিব মানুষের পাশাপাশি প্রভাবশালীরাও বন কর্মকর্তাদের যোগসাজশে জমি দখল করেছে। মার্কেট, বাসাবাড়ি বানিয়ে ভাড়া দিচ্ছে। হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।