প্রতিবন্ধী যুবতি ধর্ষণ: আসামী গ্রেপ্তার না হওয়ায় বিচার নিয়ে পরিবারের শঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক, নওগাঁ:
নওগাঁর রাণীনগরে বাকপ্রতিবন্ধী যুবতিকে বিস্কুট খাওয়ানোর প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণ ঘটনায় রাণীনগর থানায় মামলা দায়েরের ১৩ দিন অতিবাহিত হলেও ধর্ষণ মামলার আসামী সুটকা’কে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। আসামী গোবিন্দ চন্দ্র সুটকা বর্তমানে পালাতক থাকায় ও তার পরিবার এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় সুষ্ঠু বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন প্রতিবন্ধি যুবতীর পরিবার।
জানা গেছে, রাণীনগর উপজেলার আতাইকুলা পালপাড়া গ্রামের মৃত দুলাল চন্দ্রের ছেলে গোবিন্দ চন্দ্র ওরফে সুটকা গত ১০ এপ্রিল বুধবার সকাল অনুমান সাড়ে ৯ টায় স্থানীয় এক জনৈক ব্যক্তির বাকপ্রতিবন্ধী মেয়ে (২২) কে বিস্কুট খাওয়ানোর প্রলোভন দিয়ে কৌশলে তার বাড়ীতে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। প্রতিবন্ধি ওই যুবতি বাড়িতে এসে তার মাকে কিছুটা ইশারা ইঙ্গিতে তাকে ধর্ষণের কথা বলে। ঘটনাটি গ্রামে জানাজানি হলে ওই দিন রাতে ও পরদিন ১১ এপ্রিল রাতে আতাইকুলা গ্রামে কয়েক দফা শালিস-বৈঠকের মাধ্যমে এলাকার কতিপয় মোড়লরা নগদ ২ হাজার টাকা দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা’র ব্যর্থ চেষ্টা’র মাধ্যমে আসামীকে কৌশলে পালিয়ে যেতে সহয়তা করে। এঘটনায় প্রতিবন্ধীর বাবা বাদী হয়ে গত ১২ এপ্রিল গোবিন্দ চন্দ্র ওরফে সুটকাকে আসামী করে রাণীনগর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের দিনেই যুবতির ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়।
এ ব্যাপারে বাকপ্রতিবন্ধী যুবতীর মা বলেন, ঘটনার ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও আসামী সুটকাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি রাণীনগর থানাপুলিশ। আসামী গ্রেপ্তার না হওয়ায় সুষ্ঠু বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে তাদেরকে সুষ্ঠু বিচার পাওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত্য করেছেন বলে তিনি জানান।
রাণীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ এএসএম সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আসামী পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আসামী দেশের যে প্রান্তেই থাক না কেন সন্ধান পাওয়া মাত্রই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। এছাড়া সুষ্ঠু বিচারের জন্য যতটুকু আইনি সহায়তা প্রয়োজন আমাদের পক্ষ থেকে তা করা হবে।
স/অ