প্রতারকদের হাতে ব্রিটিশ সরকারের ফারলো স্কিমের ১০ শতাংশ অর্থ

ব্রিটিশ সরকারের জব রিটেনশন স্কিম বা ফারলো স্কিমের প্রায় ৫ থেকে ১০ শতাংশ অর্থ ভুলভাবে বা প্রতারণার মাধ্যমে আবেদনকারীদের পরিশোধ করা হয়েছে বলে ধারণা করছে এইচএম রেভিনিউ অ্যান্ড কাস্টমস (এইচএমআরসি)।

মঙ্গলবার পার্লামেন্টে পাবলিক অ্যাকাউন্ট কমিটিকে এ তথ্য জানান, এইচএমআরসির প্রধান জিম হারা। তিনি জানান, ফারলো স্কিমের জন্য এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫ দশমিক ৪ বিলিয়ন পাউন্ড পরিশোধ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন পাউন্ড থেকে ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন পাউন্ড ভুলভাবে পরিশোধ করা হয়েছে, যা হয় ভুলও হতে পারে বা প্রতারণার মাধ্যমে আবেদনের পর তাদের পরিশোধ করা হয়ে থাকতে পারে।

প্রতারণা সন্দেহে প্রায় ২৭ হাজার আবেদনের পর্যালোচনা করছে এইচএমআরসি। গত ২৩ মার্চ করোনা মহামারির লকডাউন শুরু হওয়ার পর ফারলো স্কিমের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তাদের বেতনের ৮০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ আড়াই হাজার পাউন্ড পরিশোধ করে সরকার। অক্টাবরে ফারলো স্কিমের সমাপ্তি হওয়ার কথা রয়েছে। ফারলো স্কিম থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কাজে ফিরিয়ে নিলে চাকরিদাতা কোম্পানিকে জানুয়ারিতে প্রতি স্টাফের জন্য এক হাজার পরিশোধ করবে সরকার।

১৬ অগাস্ট পর্যন্ত ব্রিটেনের ১ দশমিক ২ মিলিয়ন প্রতিষ্ঠানের ৯ দশমিক ৬ মিলিয়ন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ফারলো স্কিমের অধীনে সহযোগিতা করেছে সরকার। অন্যদিকে প্রায় ২ দশমিক ৭ মিলিয়ন সেল্ফ ইমপ্লয়েডকে প্রায় ৭ দশমিক ৮ বিলিয়ন পাউন্ড সহযোগিতা দিয়েছে সরকার।

উল্লেখ্য, ফারলো স্কিমের প্রতারণা নিয়ে এই প্রথমবারের মতো জনসম্মুখে মুখ খুলেছে এইচএমআরসি। এইচএমআরসির সঙ্গে  এইচএম ট্রেজারিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে পার্লামেন্টের পাবলিক অ্যাকাউন্ট কমিটি। প্রতারণা এবং ভুলের মাশুল হিসেবে ২০১৯ সালে সরকার প্রায় ৩০ বিলিয়ন পাউন্ড রাজস্ব হারিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রতারণা বা ভুলের মাত্রা কমানোর উপায় খুঁজতে এমপিরা এইচএমআরসি এবং এইচএম ট্রেজারিকে তাগিদ দিয়েছেন।

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন