প্রজ্ঞাপন : শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, স্বাগত জানিয়ে ছাত্রলীগের মিছিল

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল চেয়ে কোটা পর্যালোচনা কমিটির সুপারিশকে স্বাগত জানিয়ে প্রজ্ঞাপন পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’।

পূর্বঘোষণা অনুযায়ী কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপনসহ তিন দফা দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে আন্দোলনকারীরা।

অপরদিকে কমিটির সুপারিশকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।

মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান গ্রন্থাগার থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভটি কার্জন হল, মোকাররম ভবন, টিএসসি হয়ে শাহবাগ অভিমুখে রওনা হয়েছে। তারা ‘অবিলম্বে প্রজ্ঞাপন দিতে হবে দিয়ে দাও’; ‘মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করো, করতে হবে করে দাও’; ‘হামলাকারীদের বিচার করতে হবে করতে হবে’; ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নেই’; ‘মামলা দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না’ সহ নানা স্লোগান দেন।

এদিকে কোটা পর্যালোচনা কমিটির সুপারিশকে স্বাগত জানিয়ে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে অবস্থান নেন বিভিন্ন হলের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। কোটা পর্যালোচনা কমিটির সুপারিশ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়ে তাদের স্লোগান দিতে দেখা গেছে।

বর্তমানে সরকারি চাকরিতে সংরক্ষিত কোটা ৫৬ শতাংশ। বাকি ৪৪ শতাংশ নেওয়া হয় মেধা যাচাইয়ের মাধ্যমে। বিসিএসে নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৩০, জেলা কোটায় ১০, নারী কোটায় ১০ এবং উপজাতী কোটায় পাঁচ শতাংশ চাকরি সংরক্ষণ আছে। এই ৫৫ শতাংশ কোটায় পূরণযোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে সেক্ষেত্রে এক শতাংশ পদে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়োগের বিধান রয়েছে।

এই কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরে আন্দোলন করছিলেন শিক্ষার্থীরা। কোটা সংস্কারের দাবিতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধও করছিলেন তারা। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষও হয় আন্দোলনকারীদের। গ্রেপ্তারও হন আন্দোলনকারী অনেক নেতা।

কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১১ এপ্রিল জাতীয় সংসদে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোটা নিয়ে যখন এতকিছু, তখন কোটাই থাকবে না। কোনো কোটারই দরকার নেই। যারা প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী তাদের আমরা অন্যভাবে চাকরির ব্যবস্থা করবো।’