প্রকৌশলের অবহেলায় সাপাহার-খঞ্জনপুর রাস্তার দুর্ভোগ চরমে

নিজস্ব প্রতিবেদক, নওগাঁ:
নওগাঁর সাপাহারে অবস্থিত সাপাহার উপজেলা সদর থেকে খঞ্জনপুর বিজিবি ক্যাম্প পর্যন্ত প্রায় ৫ কি:মি: জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি সাপাহার প্রকৌশলের অবহেলা ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের উদাসিনতার কারণে থমকে রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে,এতে ভোক্তভূগি কয়েকটি ইউনিয়নের জনসাধারণ। তারা বলছে এ অবস্থা থেকে আগের অবস্থাই ভালো ছিলো। ভাঙ্গা হলেও কষ্ট করে যাতায়াত করতে পারতেন।

উপজেলার অন্যতম বিজিবি ক্যাম্প খঞ্জনপুর বিজিবি ক্যাম্প ও উপজেলার শিরন্টি, পাতাড়ী ও আইহাই ইউনিয়নের সাথে যোগাযোগ স্থাপনকারী জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি ১৯৯৬সালে আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় আসার পর এলাকাবাসীর গুরুত্ব বিবেচনা করে বিভিন্ন উন্নয়নের পাশাপাশি প্রথম কার্পেটিং করে। এরপর দীর্ঘ দিন রাস্তাটি হাজারো খানা খন্দকে বেহাল হয়ে পড়ে থাকলেও যেন কারো নজর পড়েনি রাস্তাটিতে। এলাকার জনগন বর্ণনাতীত কষ্ট করে ওই পথে চলা ফেরা করত।

এমনি অবস্থায় রাস্তাটির বিষয়ে উপজেলা সদরের সংশ্লিষ্ট কয়েকটি দপ্তরে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় সে আমলে প্রথম রাস্তাটি সড়ক ও জনপদ বিভাগ হতে করা হয়ে ছিল কিন্ত তখন রাস্তাটির কোন নম্বার হয়নি ফলে পরবর্তীতে কোন দপ্তরই রাস্তাটির আর দায়িত্ব নিতে চায়না। শেষ পর্যন্ত আবার এই সরকারের আমলের শেষের দিকে অনেক দেন দরবার করে রাস্তাটি শেষ পর্যন্ত এলজিইডি বিভাগ তাদের দায়িত্বে নিয়ে কয়েক মাস পূর্বে রাস্তাটি মেরামতের কাজ শুরু করে এবং সে মতে নওগাঁর এক বিশিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওই রাস্তা মেরামতের দায়িত্ব পান। বেশ কিছু দিন পূর্বে তারা রাস্তাটির মাটি কেটে উলোট পালট করে পুরো রাস্তায় খোয়া বিছিয়ে দিলেও সেই খোয়াগুলি ডলে সমান করেনি। যার ফলে রাস্তা মেরামতের পূর্বে যত কষ্ট করে জনগন ওই পথে চলাচল করত এখন খোয়া ও পাথর বিছিয়ে কোন কাজ না করার কারণে বনর্ণাতীথ কষ্ট নিয়ে সেই পথে চলাচল করছে। অনেকেই অতি কষ্টে ওই পথে না চলে কম পক্ষে আরোও ৫কি: মি: পথ ঘুরে উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ করে চলেছে। রাস্তাটি যেন এখন জনগনের বোঝা হয়ে দাড়িয়েছে।

রাস্তা খননের সময় ঠিকাদারের লোকজন বলেছিল পবিত্র ঈদুল ফিতরের পূর্বেই রাস্তাটির সম্পূর্ন কাজ করা হবে এখন দেখা যাচ্ছে ঈদের পরেও রাস্তাটির এক তৃতীয়াংশ কাজ হবে না। এই বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশল অফিসে গিয়ে কর্মকর্তাকে না পেয়ে তার মোবাইলে ফোন করে ফোনটি সার্বক্ষনিক বন্ধ থাকায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

বর্তমানে ওই রাস্তায় চলতে না পেরে উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের জনসাধারণ ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও প্রকৌশলের প্রতি দারুণ ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। ঈদে সন্তান সন্তানাদীদের নিয়ে ভালো ভাবে ঈদ করতে চাইলেও এই জনদূর্ভোগ রাস্তাটির জন্য সব আনন্দ যেন ভেস্তে যাবে বলে মনে করছে।
স/শ