শনিবার , ১৫ জুন ২০২৪ | ১লা আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

Paris
জুন ১৫, ২০২৪ ১:৪০ অপরাহ্ণ

আমি আরিফুল ইসলাম বিপ্লব, গ্রাম. বিদিরপুর উপজেলা. গোদাগাড়ী, জেলা রাজশাহী একজন সৎ ও সমাজের কাছে দায়বদ্ধ সচেতন নাগরিক। গত ৪ জুন ২০২৪ ইং তারিখে দৈনিক নিউজ বাংলা নামের একটি অনুমোদনহীন অনলাইনে আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। সংবাদে আমাকে মাদক পাচারের গডফাদার হিসেবে উল্লেখ করে মনগড়া ও চরম অসত্য বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশন করে আমার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সম্মানহানি ঘটানো হয়েছে।

আমি খোঁজ নিয়ে অবগত হয়েছি অনুমোদনহীন অনলাইনের রিপোর্টার গোদাগাড়ী সীমান্ত এলাকার তালিকাভুক্ত ও চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে, তাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছেন। আমি প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। সংবাদে আমাকে বিভিন্ন ঘাটের ইজারাদার উল্লেখ করা হয়েছে কিন্তু বাস্তবে আমি চলতি বছরে উপজেলার কোন ঘাট ইজারা নেইনি। কোন ফেরিঘাটের সঙ্গে জড়িত নই। বরং বিদিরপুর ও প্রেমতলী ঘাট দু’টি এ বছর ইজারা নিয়েছে জনৈক আলমগীর। ফুলতলা ঘাটটি ইজারা নিয়েছে জনৈক দুলাল হোসেন। গত বছর এই তিনটি ঘাটের ইজারা মূল্য ছিল ৯০ লাখ টাকা। তবে চলতি বছরে তিনটি ঘাট ইজারা ডাকা হয়েছে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকায়।

এসব আসল ঘাট নিয়ে রিপোর্টার সংবাদে কেন কোনকিছু লেখেননি তা সহজেই বোধগম্য। সংবাদে উল্লেখ করা সুলতানগঞ্জ ও ভগবন্তপুর ঘাটেরও আমি ইজারাদার নই। বাস্তবে এসব ঘাটের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক নাই। আগে যখন বিদিরপুর ফুলতলা ঘাটের ইজারা মুল্য কম ছিল তখন এলাকার লোকজনের সঙ্গে অংশীদারী ভিত্তিতে ও সম্মিলিতভাবে এসব ঘাট করেছি। কয়েক বছর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনে সাহেবনগর সীমান্তের বিট খাটাল আমার নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল একাধিকবার। আমি সরকারের আইন অনুযায়ী সুষ্ঠু ও শৃঙ্খলাপুর্ণভাবে বিট খাটাল পরিচালনা করেছি।

আমি মাদক পাচারে জড়িত হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমার নামে পরপর তিনবার সীমান্তের বিট খাটাল বরাদ্দ দিতেন না। কারণ বিট খাটাল অনুমোদনের আগে পুলিশ ও বিভিন্ন সংস্থা আমার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন। তবে আমাদের আমলে এসব ঘাট ও বিট খাটাল দিয়ে মাদক পাচারের যে কোন চেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিরোধ করেছি। প্রশাসন এসব বিষয়ে অবগত আছেন। সংবাদে মাদক পার করে কোটি টাকার মালিক হওয়া নিয়ে চরম মিথ্যাচার করা হয়েছে। আমি কোনদিন মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না এখনও নই। আমার স্ত্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক। আমি বিট খাটাল পরিচালনা করে বৈধভাবে কিছু অর্থ উপার্জন করেছি যা আমার আয়কর ফাইলে উল্লেখ রয়েছে। পৈত্রিক জমিজমা ছাড়া কোথাও আমার তেমন বিশেষ কোন সম্পদ নেই যা ভালভাবে খোঁজ নিলেই জানা যাবে। লালটু, লিটন, আলাউদ্দিন ও ফজর মাঝির সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক নাই। যতটুকু জানি লিটন মাঝি যেসব মাদক ব্যবসায়ীর মাদক বহন করতেন তারাই তাকে ধরিয়েছে প্রশাসন থেকে নিজেদেরকে আড়ালে ও নিরাপদে রাখার জন্য।

মাদক পাচারের সঙ্গে আমার নাম জড়িয়ে পুর্ব পরিকল্পিতভাবে প্রকাশ করা হয়েছে বলে মনে করছি। আমি একজন শান্তিপ্রিয় নাগরিক। কোন প্রকার মাদক পাচার বা অপরাধমুলক কাজের কোন রেকর্ড নেই আমার বিরুদ্ধে। প্রকাশিত সংবাদে সমাজের কাছে আমাকে ও আমার পরিবারকে হেয় প্রতিপন্ন করে মান-সম্মানের হানি করার উদ্দেশ্যে সংবাদটি প্রকাশ করায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর