পেলেকে ছাড়ালেন মেসি

আর্জেন্টিনার জার্সিতে শিরোপা জয়ের অপেক্ষা ফুরিয়েছে তাঁর। সেই আকাশি-সাদাতেই কাল আরেক ব্যক্তিগত চূড়া ছুঁয়েছেন লিওনেল মেসি। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বলিভিয়ার বিপক্ষে হ্যাটট্রিকে আন্তর্জাতিক গোলসংখ্যায় পেলেকে ছাড়িয়ে গেছেন তিনি। ৭৯ গোল নিয়ে এখন দক্ষিণ আমেরিকার সর্বোচ্চ গোলদাতা আর্জেন্টাইন খুদে জাদুকর।

৭৭ গোল নিয়ে এত দিন শীর্ষস্থানটা ছিল পেলেরই। ৭৬ গোল নিয়ে খেলতে নেমেছিলেন মেসি। ম্যাচের ১৪ মিনিটেই পেলেকে ছোঁয়া হয়ে যায়। দ্বিতীয় গোলে ছাড়িয়ে যান। আর হ্যাটট্রিক পূরণে ব্যবধানটা নেন আরো বাড়িয়ে। আর্জেন্টিনার হয়ে ১৫৩তম ম্যাচ খেলতে নেমে মেসির এই অর্জন। পেলে অবশ্য ৯২ ম্যাচেই করেছিলেন ৭৭ গোল। ব্রাজিলিয়ান আরেক তারকা নেইমারও হয়তো কিছুদিনের মধ্যেই ছাড়িয়ে যাবেন তাঁর পূর্বসূরিকে। গতকালই পেরুর বিপক্ষে নিজের ৬৯তম গোলটি করেছেন তিনি। দক্ষিণ আমেরিকার সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় এরপর লুই সুয়ারেস (৬৪ গোল), ৬২ গোল নিয়ে রোনালদোও আছেন শীর্ষ পাঁচে।

দিন কয়েক আগেই ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ১১১ গোল নিয়ে সর্বোচ্চ গোলের বৈশ্বিক চূড়াটাই ছুঁয়েছেন। মেসির জন্য সেই পথ হয়তো এখনো বহুদূর। তবে পেলেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার দিনেও বলেছেন, ‘ব্যক্তিগত রেকর্ড সব সময় আমার কাছে দ্বিতীয় গুরুত্বের বিষয়। এখানে আমরা আছি আরো বিশেষ কিছু অর্জনের জন্যই।’ সেই বিশেষেরই একটি কোপা আমেরিকা জেতা হয়ে গেছে তাঁর গত জুলাইয়েই। সেই ট্রফি নিয়ে উদযাপনেই এদিন তাই আবেগে ভেসেছেন তিনি, রেকর্ড নয়। পাখির চোখ করে রেখেছেন এখন তিনি কাতার বিশ্বকাপ। সেই পর্যন্ত নিশ্চিত তাঁর পায়ে গোলের ফুল ফুটবে। সেই ২০১৬ সালে গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতাকে (৫৪ গোল) ছাড়িয়ে যাওয়ার পর থেকেই আর্জেন্টিনার সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি। এখন কিংবদন্তি পেলেকে ছাড়িয়ে ছুঁয়ে ফেললেন মহাদেশীয় চূড়াটাও।

বলিভিয়ার বিপক্ষে এদিন আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের সপ্তম হ্যাটট্রিক পেয়েছেন তিনি। ক্লাব ক্যারিয়ার মিলিয়ে যা ৫৫তম। দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়েও এখন সর্বোচ্চ গোলদাতা মেসি। এদিনের হ্যাটট্রিকেই ২৬ গোল নিয়ে ছাড়িয়ে গেছেন তিনি সাবেক ক্লাব সতীর্থ লুই সুয়ারেসকে। বলিভিয়ার বিপক্ষেই এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি গোল তাঁর, ১১ ম্যাচে ৮টি। দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের প্রতিটি দলই মাঠে সমানে সমান লড়ে বলে বাছাইয়ে গোলের পর গোল করা সহজ নয় মোটেও। মেসির সাত হ্যাটট্রিকের একটি ব্রাজিলের বিপক্ষেও, ২০১২ সালে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলেন প্রথমটি। সে বছর ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ডও করেছিলেন তিনি।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ