পেরুতে বাড়ছে বিক্ষোভ, জরুরি অবস্থানে প্রেসিডেন্ট

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

নতুন নির্বাচনের আহ্বান এবং আটক প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি পেদ্রো কাস্টিলোর মুক্তির দাবিতে পেরু জুড়ে বিক্ষোভ বাড়ছে। বিক্ষোভকারীরা অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন। দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে তাদের বিক্ষোভ প্রসারিত হচ্ছে। কাস্টিলোর অভিশংসন এবং গ্রেপ্তারের ক্ষোভে সোমবার পেরুর দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আরেকুইপার বিমানবন্দরের রানওয়েতে সবাইকে অবরোধ করতে দেখা যায়।

শত শত জ্বলন্ত টায়ার, কাঠ এবং পাথর এদিক সেদিক ছড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। অন্যান্য বড় বড় শহরগুলোতেও চলে রাস্তা অবরোধ। কতৃপক্ষ জানিয়েছে, বিক্ষোভে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চারজন। স্থানীয় সময় রবিবার দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর আন্দাহুয়াইলাসে বিক্ষোভকারী এবং পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে পাঁচজন।

এদিকে আরেকুইপায় বিক্ষোভে সোমবার আরেক বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে। পেরুর প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আলবার্তো ওতারোলা আইন প্রণেতাদের বলেছেন, তবে পেরুর প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আলবার্তো ওতারোলা আইন প্রণেতাদের বলেছেন, বিধায়কদের মতে আন্দাহুয়াইলাসহ একজন নিহত হয়েছেন।

বিক্ষোভকারীরা গুলতি ছোড়ে এবং পাথর নিক্ষেপ করে। তাই বাধ্য হয়ে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে বলে জানায় কতৃপক্ষ। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা বলছে তাদের দিকে গুলি ছোড়া হয়েছে। পেরুর ন্যায়পাল অফিসের প্রধান এলিয়ানা রেভোলারও একই কথা বলেন। তিনি জানান, সম্ভবত গুলির আঘাতে ১৫ ও ১৮ বছর বয়সী দুজন নিহত হয়েছেন।

পেদ্রো কাস্টিলোকে অপসারণ করার পর পেরুর প্রেসিডেন্ট পদে বসা দিনা বোলুয়ার্ট আগাম নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দেন। এর পরেও সারা দেশে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পেরুর উত্তরাঞ্চলীয় ও আন্দিয়ান শহরগুলো বেশি বিক্ষোভ হচ্ছে বলে জানা যায়।

বিক্ষোভ থামিয়ে নাগরিকদের ঘরে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট। জাতির উদ্দেশে তিনি ভাষণও দেন তিনি। ভাষণে তিনি নতুন একটি আইনের কথা জানান। তিনি বলেন, আমি ২০২৪ সালের এপ্রিলে সাধারণ নির্বাচন এগিয়ে আনার জন্য কংগ্রেসের সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছাতে একটি বিল পেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী দিনগুলো এ আইন প্রবর্তন করা হবে। কাস্টিলোর গ্রেফতারের পরপরই পেরুজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়।

প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো অ্যাঙ্গুলো বলেছেন, নাগরিক অস্থিরতা কিভাবে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে তা নির্ধারণ করতে বোলুয়ার্টের নবনিযুক্ত মন্ত্রিসভা রোববার রাতে বৈঠক করেছে। এ বৈঠকের পর বোলুয়ার্তে উচ্চ সংঘর্ষের আশঙ্কায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট দিনা বোলুয়ার্ট। প্রয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীকেও জরুরি পদক্ষেপ বা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজে লাগাতে পারেন বলে জানান তিনি।

সূত্র: কালের কণ্ঠ