‘পেটের দায়ে টিকা পারি না দিবস দিয়ে কী হবে’

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের কড়াইল গ্রামের মৃত নকুল দাসের স্ত্রী টগর দাস। চার বছর আগে তাঁর স্বামী মারা যান। এক মেয়ে ও এক ছেলে আছে তাঁর। মেয়ের বিয়ে হয়েছে। আর ছেলে বিয়ে করে আলাদা হয়ে গেছেন। বসতভিটা বাদে তাঁর কিছুই নেই। ফেরি করে শিঙাড়া বিক্রি করে জীবন চালান টগর দাস। গড়ে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ টাকা আয় করেন। তা দিয়ে কোনো রকমে দিন কাটান।

আজ ৮ মার্চ নারী দিবস। এই দিবসের বিষয়ে জানতে চাইলে টগর দাস বলেন, ‘পেটের দায়ে টিকা পারি না। নারী দিবস দিয়ে কী হবে।’ গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ফতেপুর ইউনিয়নের হিলড়া-কাটাখালি এলাকায় কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন কয়েকজন নারী শ্রমিক। উপজেলার বিভিন্ন কাঁচা রাস্তায় মাটির কাজ করে ফিরছিলেন তাঁরা। নারী দিবস কথাটি উচ্চারণ করতেই তাঁদের একজন বলে উঠলেন, ‘কিয়ের নারী দিবস। আমরা ওই সব বুঝি না। কাজ না করলে পেটে ভাই যাইব না। দিবস দিয়্যা কী অইবে।’ মহেড়া ইউনিয়নের হিলড়া গ্রামের একটি ইটভাটায় কাজ করছিলেন কয়েকজন নারী শ্রমিক। নারী দিবস সম্পর্কে জানতে চাইলে তাঁদের একজন বলেন, ‘আমাগো জন্য আবার দিবস আছে নাকি। এইড্যা তো প্রথম হুনলাম।’

হিলড়া গ্রামের কল্পনা আক্তার ও শেফালী বেগম বলেন, দৈনিক ২৫০ টাকা মজুরিতে সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ১০ ঘণ্টা কাজ করেন। দৈনিক আট ঘণ্টা কাজের সময় নির্ধারিত রয়েছে, জানেন কি না—প্রশ্ন করলে বলেন, বিকেল পাঁচটার পর অতিরিক্ত কাজ করলে তাঁরা ৫০ টাকা করে ওভার টাইম পান।

উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মিনু পারভীন বলেন, ‘খেটে খাওয়া নারীদের কাছে আমরাও নারী দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরতে পারিনি। তাঁদের জন্য যে আলাদা একটি দিন রয়েছে, তা বোঝাতে পারিনি।