পেঁয়াজের এলসির সুদ ৯ শতাংশের বেশি না রাখার নির্দেশ

পেঁয়াজ আমদানির এলসির (ঋণপত্র) সুদহার ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নির্দেশনা অনুযায়ী ৯ শতাংশের বেশি সুদে এলসি করা যাবে না। পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল রাখতে এরকম সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা।

বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।

বাংলাদেশি কার্যত সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো এ সার্কুলারে বলা হয়েছে, পেঁয়াজসহ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে সুদের হার ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার জন্য ৩০ মে পর্যন্ত যেই নির্দেশনা ছিল এর সময়সীমা বর্ধিত করা হয়েছে। পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ সুদহার নির্ধারণের এই নির্দেশনা চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

সার্কুলারে আরও বলা হয়, সাম্প্রতিককালে আন্তর্জাতিক বাজারে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির কারণে স্থানীয় বাজারেও এ নিত্যপণ্যের মূল্যে ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে, বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক ও মূল্য স্থিতিশীল রাখার জন্য পেঁয়াজ আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে মার্জিনের হার ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার জন্য পরামর্শ প্রদান করা হলো।

উল্লেখ্য, সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ঘোষণা দেয় ভারত। এরপরই দেশের বাজারে বাড়তে থাকে এ নিত্যপণ্যের দাম। ঢাকাসহ দেশের বাজারে ইতোমধ্যেই শতের কাছাকাছি পৌঁছেছে পেঁয়াজের দাম। ফলে এর বাজার নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ আমদানিতে খরচ কমানোর বিষয়ে তাগিদ দেন সংশ্লিষ্টরা।

দেশে পেঁয়াজ মজুত ও ঘটতির বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে খোঁজ নিয়ে জেনেছি, বর্তমানে দেশে ৫ থেকে ৬ লাখ টন পেঁয়াজ রয়েছে। আগামী নতুন পেঁয়াজ ওঠা পর্যন্ত আমাদের আরও প্রায় চার লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করতে হবে। ইতোমেধ্য টিসিবি টার্কি (তুরস্ক) থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি খুলেছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টিসিবির মাধ্যমে এক লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করব।’

 

সূত্রঃ জাগো নিউজ