পুুঠিয়ায় ইউএনও‘র হস্তক্ষেপে একঘরে পরিবারকে সমাজে অর্ন্তভুক্ত

পুঠিয়া প্রতিনিধি:

রাজশাহীর পুঠিয়ায় বাল্য বিয়ের তথ্য দেওয়ায় শালিস বৈঠক করে একঘরে করা হয় এক পরিবারকে পরে ইউএনও‘র হস্তক্ষেপে সমাজে গ্রহন করা হয়েছে সেই পরিবারকে। ঘটনাটি ঘটেছে পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়নের ভুবননগর গ্রামে।

জানা গেছে, গত বছরের ডিসেম্বরে ভুবননগর গ্রামের এক হিন্দু পরিবারের জৈনক ব্যক্তির ৮ম শ্রেণীতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রীর বাল্যবিয়ের আয়োজন করা হলে একই গ্রামের সুব্রত কুমার নামের যুবক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করে। পরে সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নুরুজ্জামান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বাল্যবিয়ে নিরোধ আইনে বাল্যবিয়েটি বন্ধ করে দেন। কিছুদিন যেতেই গত তিনমাস আগে ইউএনও কে বাল্যবিয়ের তথ্য দেওয়ার অপরাধে সমাজের প্রধানরা মিলে শালিস বৈঠকের মাধ্যমে সুব্রত কুমার কে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। কিন্তু  সুব্রত কুমার ও তার পরিবার জরিমানার টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাদের চার সদস্যের পরিবারকে সমাজ থেকে একঘরে করা হয়।

সুব্রত কুমার জানান, ইউএনও কে বল্যবিয়ের তথ্য দেওয়ায় সামাজিক ভাবে শালিস বৈঠক করে আমাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার টাকা না দেওয়ায় আমার পরিবারকে একঘরে করা হয়েছিল। পরে বিষয়টি বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে জানাই।

এব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমা নাহার বলেন, প্রশাসনকে তথ্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে একটি পরিবারকে একঘরে করার সংবাদে ওই সমাজের প্রধানদের গত ২২ মে পূনরায় পরিবারটিকে সমাজে অন্তরভূক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে একদিন পরেই তারা পরিবারটিকে সমাজে অন্তরভূক্ত করে নেয়।

উল্লেখ যে, তাতক্ষনিক ভাবে বল্যবিয়েটি বন্ধ হলেও দুএকদিন পরেই রাতের আধারে ওই স্কুল ছাত্রীর বিয়ে হয়ে যায়।

স/অ