পুষ্টিহীনতার ঝুঁকিতে দেশের অর্ধেকের বেশি প্রবীণ

বিষণ্ণতা, মুখ ও দাঁতের খারাপ স্বাস্থ্য, বিশেষ খাদ্য পরিহারের অভ্যাস ও অসংক্রামক রোগের উপস্থিতির কারণে দেশের এক চতুর্থাংশ প্রবীণ অপুষ্টিতে ভুগছেন। আর অর্ধেকেরও বেশি প্রবীণ পুষ্টিহীনতার ঝুঁকিতে আছেন। বিশ্ব প্রবীণ দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগ কর্তৃক পরিচালিত এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।

এমন বাস্তবতায় শুক্রবার (১ অক্টোবর) বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালন করা হবে বিশ্ব প্রবীণ দিবস।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত ওই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, জীবনসঙ্গীবিহীন প্রবীণদের মাঝে অপুষ্টির হার ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ। আর পুষ্টিহীনতার ঝুঁকির হার ৬৫ দশমিক ৩ শতাংশ। এতে আরও বলা হয়, বিষণ্ণতায় ভোগা প্রায় ৪০ শতাংশ প্রবীণ অপুষ্টিতে ভুগছেন।

১৯৯০ সালে জাতিসংঘ প্রতিবছর ১ অক্টোবর আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। বার্ধক্যের বিষয়ে বিশ্বব্যাপী গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৯৯১ সাল থেকে দিবসটি পালন করা শুরু হয়।

এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘ডিজিটাল সমতা সকল বয়সের প্রাপ্যতা’। প্রবীণ দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি কল্যাণমূলক সংগঠনগুলোকেও প্রবীণদের কল্যাণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

সমাজকল্যাম মন্ত্রণালয় জানায়, ১৯৯৬ সালে তৎকালীন সরকার বয়স্কভাতা কর্মসূচি প্রবর্তন করে যার আওতায় ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রান্তিক পর্যায়ে প্রায় ৪৯ লাখ প্রবীণ নাগরিক ভাতা পেয়েছেন। চলমান অর্থবছরে এর আওতা আরও বাড়ানো হয়েছে। সরকার ২০১৪ সালে প্রবীণ ব্যক্তিদের সিনিয়র সিটিজেন হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা-২০১৫ প্রণয়ন করেছে। আওয়ামী লীগ সরকার প্রবীণদের সার্বিক কল্যাণে নানামুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সারাবিশ্বেই অন্যান্যদের তুলনায় প্রবীণদের মধ্যে অপুষ্টি বা পুষ্টিহীনতার ঝুঁকি বেশি। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রবীণের সংখ্যা আনুমানিক দেড় কোটি। ধারণা করা হচ্ছে, ২০৫০ সালে সংখ্যাটি সাড়ে ৩ কোটি ছাড়িয়ে যাবে।

জানা যায়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রবীণ নাগরিকদের সামাজিক নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে সংবিধানে সামাজিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত ১৫(ঘ) অনুচ্ছেদ সংযুক্ত করেন।

 

সূত্রঃ জাগো নিউজ