পুলিশ নিয়োগে আড়িপাতা ফাঁদে পড়ে ২ এএসআই প্রত্যাহার

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

পুলিশ সদর দফতরের ফোনে আড়িপাতা ফাঁদে ধরা পড়ে স্ট্যান্ড রিলিজ (তাৎক্ষণিক প্রত্যাহার) হয়েছেন বগুড়ার দুই সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই)।

বগুড়া পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে ঘুষ লেনদেন বন্ধ করতে মোবাইল ফোনে আড়িপাতা হয়েছিল। এতে ধরা পড়ায় বুধবার তাদের বগুড়া থেকে চট্টগ্রাম রেঞ্জে পাঠানো হয়েছে।

ওই পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন- বগুড়া ডিবি পুলিশের এএসআই শওকত আলম ও রিজার্ভ অফিসের এএসআই ফারুক হোসেন।

বগুড়া পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, আইজিপি কনস্টেবল নিয়োগে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে কঠোর নির্দেশ দেন। এ ছাড়া নিয়োগে ঘুষ লেনদেনে জড়িতদের ধরতে পুলিশ সদস্যদের মোবাইল ফোনে আড়িপাতা হয়েছিল। নিয়োগে ঘুষ লেনদেনের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ মেলে বগুড়ার দুই এএসআই শতকত আলম ও ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে।

পুলিশ সদর দফতর থেকে তাদের প্রত্যাহার করতে বগুড়ার পুলিশ সুপারকে চিঠি দেয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবারই তাদের ছাড়পত্র দিয়ে চট্টগ্রামে রেঞ্জে পাঠানো হয়েছে।

বগুড়া ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর আসলাম আলী জানান, দুই এএসআইকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে তিনি এর কারণ সম্পর্কে কিছু বলতে পারেননি।

বগুড়ার সদ্য পদোন্নতি পাওয়া পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মণ্ডল দুই এএসআইকে প্রত্যাহার করে চট্টগ্রাম রেঞ্জে পাঠানোর সত্যতা নিশ্চিত করলেও এর কারণ বলতে পারেননি।

তিনি জানান, সদর দফতর সুনির্দিষ্ট কোনো প্রমাণের ভিত্তিতেই ওই দুজনের বিরুদ্ধে শান্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।

প্রত্যাহার হওয়া ডিবি পুলিশের এএসআই শওকত আলম বৃহস্পতিবার দুপুরে জানান, তিনি জয়পুরহাটে অভিযানে ছিলেন। এ ছাড়া কনস্টেবল নিয়োগে ঘুষের ব্যাপারে ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলেননি। পুলিশের কোনো কুচক্রী মহল তাকে ও পুলিশ সুপারকে বিতর্কিত করতে ষড়যন্ত্র করছেন।

ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বলেছেন এমন অপরাধ করলে তাকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হোক।

তিনি আরও বলেন, মিথ্যা অপবাদের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করবেন।

বগুড়া পুলিশের সূত্র জানায়, এ বছর সাধারণ কোটায় ৫৪ ও বিশেষ কোটায় ১৮৫ জন কনস্টেবল নিয়োগ করা হবে। গত বুধবার প্রার্থী বাছাই করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার লিখিত পরীক্ষা হচ্ছে। কোনো অনিয়মের ব্যাপারে সদর দফতর থেকে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা ১০০ টাকায় কনস্টেবল নিয়োগের ঘোষণা দেন। এ ব্যাপারে থানায় মাইকিং, পোস্টারিং, লিফলেট বিতরণ ও পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও প্রচার চালানো হয়েছে।

বগুড়ায় পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের নামে অর্থ হাতিয়ে নেয়ায় ডিবি পুলিশ এর আগে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের কর্মচারী আনোয়ার হোসেন, গাইবান্দার পলাশবাড়ী উপজেলার আনসার সদস্য জুলহাস উদ্দিন ও আহসানুল কবির নামে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় পৃথক মামলা হয়েছে।