উত্তরবঙ্গের প্রথম ঝুলন্ত সেতু পুলিশ একাডেমিতে

শাহিনুল আশিক:


৩৭তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ চলছে। পাশের চেয়ারে দুজনের আলাপের এক পর্যায়ে একজন বললো ‘পুলিশ একাডেমিতে এসেছেন, আর ঝুলন্ত সেতু দেখেন নি, তা কী করে হয়।’ তাদের এমন কথায় দেখা হলো সেই ঝুলন্ত সেতু। সত্যিই বেশ সুন্দর।

রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমির পদ্মা নদীর খুব কাছেই উত্তর-দক্ষিণের একটি লেকের উপরে এই ঝুলন্ত সেতুটি করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। তবে এই ঝুলন্ত সেতুটি সবার দেখার সৌভাগ্য হয়ে উঠে না। কারণ পুলিশের নিয়ন্ত্রিত এলাকা হওয়ায় সবাই প্রবেশ করতে পারেন না। তবে পুলিশ একাডেমি বেড়াতে এসে ঝুলন্ত সেতু দেখেন নি, এমন মানুষ নেই বললেই চলে।



পুলিশ একাডেমির নকশাকার একেএম রকিবুল হাসান জানান, ‘২১০ ফুট লম্বা ঝুলন্ত সেতুটির কাজ ২০১৭ সালের মার্চ মাসে শুরু হয়। এ কাজে চট্টগ্রাম থেকে শ্রমিক নিয়ে আসা হয়েছিল। শ্রমিকরা মার্চ থেকে মে মিলে তিন মাসের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করে।’

তিনি আরও জানান, ‘উত্তর-দক্ষিণের লেকের পূর্ব-পশ্চিমে ঝুলন্ত সেতুটি। এতে ব্যবহার করা হয়েছে- তার, লোহার পাত, লম্বা রশির মতো ক্যাবল। এছাড়া স্কাই ব্লু, হলুদ ও সাদা মিলে তিনটি রঙ ব্যবহার করা হয়েছে পুরো ঝুলন্ত সেতুতে।’

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে- লেক ও লেকজুড়ে নানান দৃষ্টিনন্দন জিনিসপত্র স্থাপন তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া লেকের পাড়জুড়ে বিভিন্ন ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে। লেকের ভেতরে রয়েছে পদ্ম কুড়ি। পদ্ম কুড়িতে যেতে দোতালা রাস্তা রয়েছে। চারতলার পদ্ম কুড়িতে যেতে পৃথক দুটি রাস্তা ব্যবহার করতে হবে। পুলিশ একাডেমির ঝুলন্ত সেতু বাড়িয়ে দিয়েছে লেকের সৌন্দর্য।

শুধু লেক নয়, সৌন্দর্যতা মুগ্ধ করেছে প্যারেড মাঠও। মাঠের অতিথিদের আসনের প্রান্তে বিভিন্ন বিভিন্ন বর্ণের ফুলে ফুলে সেজে আছে। শুধু পাতাবাহার ছাড়া সব গাছেই ফুল ফুটেছে।

কয়েকজন পুলিশ সদস্য বলেন, শীতের এই সময়ে ফুলের গাছগুলোতে ফুল দেখা যায়। বিশেষ করে গাঁদা ফুলগুলো দেখতে বেশি ভালোলাগে। গাঁদা ছাড়াও অন্য ফুলগুলোও ফুটেছে। এই ফোঁটা ফুলগুলো প্যারেড মাঠের সৌন্দয্য বাড়িছে।

স/আ