পুরনো গ্যারেজে মিলল বহু মূল্যের সোনার ব্যাগ!

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

লিন্ডা প্রিচার্ড, ব্রিটেনের ওয়েলসের বাসিন্দা। চোখের ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন স্থানীয় ডাক্তারখানায়। সঙ্গে তার খুব পুরনো একটি হ্যান্ডব্যাগ।

ডাক্তারে চেম্বারে বসেই জানতে পারলেন সঙ্গে নিয়ে আসা ব্যাগটি আর সাধারণ কোনো ব্যাগ নয়।

১৫ ক্যারেট সোনার মোড়ানো এ ব্যাগ! টাকায় যার মূল্য চার লক্ষ ১৬ হাজার! এ খবরে রীতিমত হৈচৈ পড়ে গেল।

এতো দামি ব্যাগ কী করে এলো তার কাছে? আর কেনই বা এটি এভাবে সঙ্গে করে নিয়ে ঘুরছেন তিনি?

উত্তরে ৬১ বছর বয়সী লিন্ডা জানান, চোখে ভালো দেখিনা বলেই ডাক্তার দেখাতে এসেছি। বাড়ির পুরনো গ্যারেজে বহু পরনো আসবাবের নিচে এটা পড়েছিল। কাজে লাগবে ভেবে নিয়ে এসেছি। যে গ্যারেজে পড়েছিল এ সোনায় মোড়ানো হ্যান্ডব্যাগটি সেটি লিন্ডার বোন মার্গারেটের।

খবর জানাজানি হয়ে গেলে বেরিয়ে আসল আরেকটি রহস্য। ব্যাগটিকে এন্টিক বলছেন স্থানীয় এন্টিক বিশেষজ্ঞ জেন উইলিয়ামস।

ব্যাগের ভিতরে বেশ কিছু ছবি ও নথিপত্র ছিল যা ঘেঁটেঘুঁটে তিনি জানান, ১৯১৩ সালের জিয়েন জোনস নামক এক ধনকুবেরের সম্পদ এটি। স্ত্রী ডোরা জোনসকে উপহারস্বরুপ এটি দিয়েছিলেন তিনি।

সোনার এই ব্যাগটি ১৯১৩ সালে আর্ট ডেকো ইমানুয়েল জোসেফের নকশা করা।

ব্যাগটি নিলামে তোলা হবে বলে ঘোষণা দেন জেন উইলিয়ামস।

এ ব্যাগ লিন্ডা প্রিচার্ড এর বোনের গ্যারেজে কীভাবে এলো সে প্রশ্নে জানা গেছে, লিন্ডার বোন জিয়েন জোনসের ওয়েলসের ডেনবিগের গ্যারেজটি কিনে নিয়েছিলেন মার্গারেট। ব্যাগের প্রকৃত মালিক ডোরা ব্যাগটি ফেলে গিয়েছিলেন সে সময়।