সোমবার , ২৬ আগস্ট ২০১৯ | ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

পুঠিয়ায় স্টাইল করা অর্ধশতাধিক স্কুলছাত্রের চুল কাটলেন সভাপতি

Paris
আগস্ট ২৬, ২০১৯ ২:৩২ অপরাহ্ণ

পুঠিয়া প্রতিনিধি: অর্ধশতাধিক ছাত্রের স্টাইলিশ চুল কেটে দিলো স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি। এই ঘটনায় শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা ক্লাস বর্জন করে প্রতিবাদ করেছে। তবে শিক্ষা অফিস বলছেন, স্কুলের সভাপতি এভাবে ছাত্রদের চুল কাটাতে পারেন না।

রোববার (২৫ আগস্ট) দুপুরে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার সরিষাবাড়ী হাইস্কুলে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, সভাপতি এবাদুল হক সেলুন থেকে কেচি এনে শ্রেণিকক্ষের ভেতরেই অর্ধশতাধিক ছাত্রের এলোমেলো ভাবে মাথার চুল কেটে দেয়। এতে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা স্কুলের ক্লাস বর্জন করে সভাপতির বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করে। এনিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানায়, স্কুলের দু’একজনের মাথার চুল বড় ছিলো। সভাপতি এবাদুল হক সেলুন থেকে কেচি এনে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির প্রায় সকল ছাত্রের মাথার চুল এলোমেলো ভাবে কেটে দেয়। এ ঘটনায় অনেক ছাত্র লজ্জায় বাড়ি চলে যায়। অনেকেই বাড়ির বাইরে বের হতে পারছেন না।  আবার কেউ কেউ  সেলুনে গিয়ে চুল ঠিক করে নিয়েছেন।

সভাপতির এমন কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ জানিয়ে ছাত্রের অভিভাবক সালাম হোসেন ও তাহের আলী বলেন, ছেলে-মেয়েরা কোনো অপরাধ করলে তারা (শিক্ষক) আমাদের জানাতে পারতো। গত সপ্তাহে আমাদের ছেলের চুল কাটানো হয়েছে। অথচ সভাপতি তাদেরও চুল কেটে দিয়েছেন। এখন লজ্জায় সে আর স্কুলে আসতে চাচ্ছে না। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেক অভিভাবক বলেন, ‘সভাপতি সাহেবের চুল কাটার সখ হয়েছে একটা সেলুন দিয়ে সেখানে চুল দাড়ি কাটুক। স্কুলে এসে নাপিতগিরি দেখানোর দরকার কি ‘

স্কুলটির প্রধান শিক্ষক আফসার আলী সরদার বলেন, সভাপতি কি হিসাবে ছাত্রদের মাথার চুল কাটলো সেটা আমার মাথায় আসে না। সভাপতি স্কুলে নিজের ইচ্ছে মত চলেন।

স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সাধারণ সম্পাদক এবাদুল হক বলেন, কিছু ছাত্রের চুল কাটা হয়েছে। তিনি বলেন, বার বার শিক্ষার্থীদের স্টাইলিশ চুল কাটতে বারণ করেও না শোনায় কয়েকজনের চুল কেটেছি।’

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদুল হক বলেন, মাথার চুল কাটাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন ও অভিভাবক ক্ষুব্ধ বিষয়টি তার জানা নেই। তবে সভাপতি বা শিক্ষকরা স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাথার চুল কাটার অধিকার নেই। এবিষয়ে উর্ধতন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। এ ব্যপারে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

স/আ

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর