পুঠিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ঝুকিপূর্ণ কক্ষে চলছে পাঠদান

পৃুঠিয়া প্রতিনিধি:
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা সদরে অবস্থিত পুঠিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের চারটি কক্ষে ফাটল ধরেছে। এতে বিদ্যালয়টির দুইটি শ্রেণী কক্ষসহ চারটি কক্ষ ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় দুটি শ্রেণীর প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থীর পাঠদান করানো হচ্ছে। খোদ স্কুলটির প্রধান শিক্ষক নিজেও অফিস করছেন ঝুকিপূর্ণ কক্ষে। এতে স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। তারপরও বাধ্য হয়ে ঝুকিপূর্ণ কক্ষেই পাঠদান করতে হচ্ছে।
জানা গেছে, প্রায় ৫০ বছর পূর্বে পুঠিয়ার একদল শিক্ষানুরাগীদের চেষ্টায় ১৯৬৮ সালে উপজেলা সদরে প্রতিষ্ঠা করা হয় “পুঠিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়”। স্কুলটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ভালো ফলাফল করায় অল্পদিনেই সকলের নজরে আসে। শুধু পড়াশোনাতেই নয় বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান ও দিবস গুলোতেও ভিন্ন ধরনের উপস্থাপনা নিয়ে অংশগ্রহন করে সুনাম অর্জন করেছে স্কুলটি। বর্তমানে স্কুলটির ভোকেশনাল শাখা মিলে ৬ শ’র অধিক শিক্ষার্থীর পড়াশোনা করছে।
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতিবছর পুঠিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে একশতর উর্ধে শিক্ষার্থী এসএসসি ও জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। গত এসএসসি পরীক্ষায় ৯৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে এদের মধ্যে ১২ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। ফলাফলের দিক থেকেও উপজেলার অন্যন্য স্কুলের থেকে অনেক এগিয়ে এ বিদ্যালয়টি।
স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক মাজহারুল ইসলাম মিন্টু প্রতিবেদককে বলেন, পুঠিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে দেয়াল ঘেষে পুকুর থাকায় স্কুলটির চারটি দেয়াল ট্রেক করে মাটিতে বসে গেছে এতে চারটি কক্ষেরই উত্তর পাশের দেয়ালে ফাটল ধরেছে। চারটি কক্ষের মধ্যে দুটিতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো হয়, একটি কক্ষে শিক্ষকরা কমনরুম হিসেবে ব্যবহার করেন এবং বাঁকী একটি কক্ষে স্কুলের প্রধান শিক্ষক অফিস করেন। যে কোন সময় ভবনটিতে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
তিনি আরো বলেন, সপ্তম শ্রেণীতে শিক্ষার্থী রয়েছে ১২০ জন এবং অষ্টম শ্রেণীতে শিক্ষার্থী রয়েছে ১৩০ জন মোট আড়াইশত জন শিক্ষার্থীকে বাধ্য হয়ে ঝুকিপূর্ণ কক্ষে পাঠদান করাতে হচ্ছে।
অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী তুশি খাতুন বলেন, ফাটল ধরা কক্ষে ক্লাস করতে আমাদের অনেক ভয় লাগে কিন্তু স্কুলে অবশিষ্ঠ কোন রুম না থাকায় বাধ্য হয়ে আমাদের এই রুমে ক্লাস করতে হচ্ছে।
সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রাইসা খাতুন বলেন, আমাদের এই ফাটা স্কুলে ক্লাস করতে আর ভালো লাগে না কখন যে ভেঙ্গে মাথায় পড়বে এই ভয়ে ক্লাসের পড়াই মনে থাকেনা নতুন বিল্ডিং করে দিলেই আমরা নির্ভয়ে ক্লাস করতে পারবো।
অতিসত্তর স্কুলটির ফাটল ধরা কক্ষগুলো ভেঙ্গে নতুন বিল্ডিং তোলার দাবী জানায় স্কুলটির সকল শিক্ষার্থীরা।
এ ব্যপারে বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুস সাত্তার মন্ডল সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই স্কুলের চারটি কক্ষে ফাটল ধরে আছে আমি নিজেও ঝুকিপূর্ণ কক্ষে প্রতিদিন অফিস করছি।
নতুন ভবন নির্মানের দাবী করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করা হয়েছে। তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, আবেদন করতে পারে । তবে বর্তমানে উপজেলা পরিষদের ফান্ড নেই। আগামী অর্থবছরে নতুন বরাদ্দ এলে উপজেলা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

স/শ