পুঠিয়া ডিগ্রি কলেজকে তিন মাসের মধ্যে জাতীয়করনের নির্দেশ

পুঠিয়া ও দুর্গাপুর প্রতিনিধি:

রাজশাহীর পুঠিয়ার লস্করপুর ডিগ্রি মহাবিদ্যানিকেত (পুঠিয়া কলেজ) কে আগামী তিন মাসের মধ্যে পূণরায় জাতীয়করনের তালিকা ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়ে রায় প্রকাশ করেছে উচ্চ আদালত। গত ২৭ মে উচ্চ আদালতের বিচারক বিচারপতি শেখ আরিফ ও বিচারপতি বদরুজ্জামানের বেঞ্চ লস্করপুর ডিগ্রি মাহবিদ্যানিকেতকে আগামী ৩ মাসের মধ্যে জাতীয়করনের তালিকাভুক্ত করার নির্দেশ প্রদান করে রায় প্রকাশ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কলেজটির অধ্যক্ষ মনিরুল ইসলাম তাজুল।

কলেজ সুত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে সরকারী ঘোষনায় জাতীয়করনের তালিকায় নাম আসে লস্করপুর ডিগ্রি কলেজের। পরবর্তিতে মন্ত্রণালয় থেকে কলেজটি পরিদর্শনে এসে জাতীয়করনের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে উপজেলা সদর থেকে অনেক দুরে বানেশ্বর ডিগ্রি কলেজ কে জাতীয়করনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। এতে কলেজ কর্তৃপক্ষ পুঠিয়া কলেজকে জাতীয়করনের তালিকা থেকে বাদ দেয়ায় কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা রাজপথে আন্দোলন শুরু করেন এবং কলেজটিকে পূণরায় জাতীয়করনের তালিকাভুক্ত করার দাবীতে ২০১৬ সালে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেন। নং ১০৯২৬/১৬ ও ১২৮৮৩/১৬।

সুত্র মতে, গত ২৭ মে রীট আবেদনের পেক্ষিতে উচ্চ আদালতের ৬ নং কোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি বদরুজ্জামানের বেঞ্চে উভয়পক্ষের দীর্ঘ শুনানি শেষে লস্করপুর ডিগ্রি মহাবিদ্যানিকেত (পুঠিয়া ডিগ্রি কলেজ) কে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে পূণরায় জাতীয়করনের তালিকাভুক্ত করার সমস্ত পক্রিয়া সম্পূর্ণ করার নিদের্শ দেয়। এদিকে দীর্ঘদিন পর উচ্চ আদালতের রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।  দ্রুত আদালতের রায়টি বাস্তবায়ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ ব্যপারে লস্করপুর ডিগ্রি মহাবিদ্যানিকেতনের অধ্যক্ষ মনিরুল ইসলাম তাজুল সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, পুঠিয়া কলেজ উত্তর বঙ্গের মধ্যে একটি ঐতিহ্যবাহি কলেজ। আমাদের কলেজটি জাতীয়করনের তালিকায় আসার পরে পরিদর্শন দল কজেলটি জাতীয়করনের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে বানেশ্বর কলেজকে জাতীয়করনের তালিকায় অন্তরভূক্ত করেন। এতে কলেজের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করা হয়। দীর্ঘদিন পর আদালত কলেজটির কাগজ পত্র যাচাই বাছাই করে আগামী ৩ মাসের মধ্যে জাতীয়করনের তালিকাভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। পুঠিয়া বাসির দীর্ঘদিনের আন্দোলন সফল হয়েছে এ বিজয় পুঠিয়া বাসির বিজয়।

এক প্রশ্নের উত্তরে অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম বলেন, বানেশ্বর কলেজটি সে সময় জাতীয়করণ হয়ে গেছে আদালত সেটাকে টাচ করেনি শুধু পুঠিয়া কলেজকে পূণরায় জাতীয়করনের তালিকায় আনার সকল পক্রিয়া সম্পূর্ণ করার নিদেশ দিয়েছে। এক্ষেত্রে পুঠিয়া উপজেলায় দুটি কলেজই জাতীয়করন হবে বলেও জানান তিনি।

স/শ