পুঠিয়ায় ১১১ জন দর্শক পেলো খেলা দেখার পুরস্কার

পুঠিয়া প্রতিনিধিঃ

রাজশাহীর পুঠিয়ায় গতকাল শুক্রবার বিকেলে বিজয় দিবস ফুটবল টুর্নামেন্টের ফায়নাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। খেলা শেষে বিজয়ী ও রানার্সআপ দলের খেলোয়ারদের হাতে পুরুস্কার তুলে দেয়ার পর মাঠের গ্যালারিতে বসে খেলা উপভোগ করা ১১১ জন দর্শকের হাতেও পুরস্কার তুলে দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ১১ জন নিয়মিত মাঠে এসে খেলা দেখায় সেরা দর্শকের পুরস্কার জিতেছেন এবং অন্যরা খেলা দেখতে মাঠে প্রবেশের টিকিট সংগ্রহ করে লটাড়ির মাধ্যমে বিজয়ী হয়ে এ পুরুস্কার জেতেন।

উপজেলা পরিষদের আয়োজনে উপজেলা সদরে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী পি এন সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গত ৩৫ দিন ধরে এ টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়ে গত (১০ জানুয়ারি)  শুক্রবার বিকেলে টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা শেষ হলে সন্ধ্যায় বিজয়ী দর্শক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক খেলোয়াড়সহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে দেড়শো জনের অধিক ব্যক্তির হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়। এদের মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সরকারী কর্মকর্তা, সাবেক খেলোয়ারগণ ছাড়াও টুর্নামেন্ট সংস্লিষ্ঠরা।
ফাইনাল খেলায় কুষ্টিয়া জেলা দলকে ১-০ গোলে পরাজিত করে বিজয়ী হন রাজশাহী জেলা দল। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ী ও রানার্সআপ দলের খেলোয়ারদের হাতে প্রাইজমানির ১ লক্ষ টাকা তুলে দেন পুঠিয়া দুর্গাপুরের সংসদ সদস্য প্রফেসর ডাক্তার মনসুর রহমান। খেলার পুরোটা সময় জুড়ে মাঠে বার্তি বিনোদনের জন্য মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্য চিত্রনায়ক সাইমন সাইফ ও পরিচালক সাহিন সুমন।
আয়োজক কমিটি সুত্রে জানা গেছে, খেলা শুরুর দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত দর্শকে মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ ছিলো। দর্শকদের মাঠে প্রবেশের জন্য চেয়ারে ২০ টাকা ও মাটিতে ১০ টাকা হারে টিকিট সংগ্রহ করতে হয়েছে। তবে শেষের দিনের টিকিটের সঙ্গে লটারির ব্যবস্থা করা হলেও অন্যন্যদিন তা ছিলোনা। খেলা শেষে টিকিটের লটারিতে বিজয়ী ১০১ জন দর্শককে পুরুস্কার দেয়া হয়।
সুত্র মতে, এছাড়াও স্থানীয় সংসদ সদস্য্য, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, দুই থানার ওসি, দুই ভাইস-চেয়ারম্যান, পৌর মেয়রসহ ৬ টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, উপজেলার ১৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ৩৫ জন সাবেক ফুটবলারকে সংবর্ধনা ও সম্মাননা ক্রেস্ট উপহার দেয়া হয়েছে।
আয়োজক কমিটির একজন আশরাফুল ইসলাম জানান, খেলার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নিয়মিত বাঘা থেকে পুঠিয়ায় খেলা দেখতে আসা ১০ জনকে সেরা দর্শক নির্বাচিত করে প্রতিজনকে একটি করে ট্রফি দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ১০১ জন বিজয়ী দর্শকের মধ্যে প্রথম জনকে একটি ৩২” এলইডি টেলিভিশন। প্রথম থেকে ১০ জনকে একটি করে মোবাইল ফোন ও বাঁকী ৯০ জনকে একটি করে জার্সি পুরুস্কার দেয়া হয়েছে।
খেলা আয়োজক কমিটির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম হিরা বাচ্চু জানান, খেলার আয়োজনটি কেমন হয়েছে প্রতিদিন দর্শকদের উপচে পড়া উপস্থিতিই জানান দিয়েছে। প্রতিটি খেলায় হাজার হাজার দর্শকে খেলার মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ ছিলো।
সমাজের তরুন প্রজন্মকে মাদক ও জঙ্গিবাদ থেকে মুক্ত করতে খেলাধুলার বিকল্প নেই উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, তরুন প্রজন্মকে খেলামুখি করতেই বিজয় দিবস ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছে এটা অব্যহত থাকবে।
স/অ