পুঠিয়ায় সাবেক এমপি দারার এপিএস ও তার স্ত্রীকে পিটিয়েছেন আ.লীগ নেতাকর্মীরা

পুঠিয়া প্রতিনিধি: 
রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সাবেক এমপি আবদুল ওয়াদুদ দারার ব্যক্তিগত সহকারী (এপিএস) বদিউজ্জামান বদি ও তার স্ত্রী শ্যামলী খাতুনকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। আহত দু’জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আজ রোববার দুপুরে পুঠিয়ার বানেশ্বর বাজারের ধানহাটা নামক এলাকায় এ মারধরের ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম।
ওসি জানান, এই ঘটনায় বদিউজ্জামান ও তার স্ত্রী শ্যামলী খাতুন আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে স্বশুড়বাড়ি তাতারপুর থেকে ধানহাটা সড়ক হয়ে বানেশ্বর বাজারে ফিরছিলেন। বদিউজ্জামান বদি (৪৩) জেলার দুর্গাপুর উপজেলার ঝালুকা ইউনিয়নের ভাঙ্গিরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আকবর আলীর ছেলে।
তিনি গত ১০ বছর পুঠিয়া দুর্গাপুরের সাবেক সাংসদ দারা’র একান্ত ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন এছাড়াও তিনি বানেশ্বর সরকারী কলেজের শিক্ষকতা পেশায় কর্মরত আছেন। তার বাবা আকবর আলী দুর্গাপুর উপজেলার ঝালুকা ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি পদে রয়েছেন। এছাড়াও তার স্ত্রী আহত শ্যামলী খাতুন সরকারী কর্মকর্তা বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বদিউজ্জামাল তার স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল যোগে বানেশ্বর বাজারের দিকে ফিরছিলেন। পথে বানেশ্বর ধানহাটা নামক এলাকায় পৌছালে স্থানীয় যুবলীগের ৭/৮ জন নেতাকর্মী তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে বদিউজ্জামানের কাছে পাওনা সাড়ে ৩ লাখ টাকা দাবী করেন। এসময় তাদের সঙ্গে বদির কোন অর্থনৈতিক লেনদেন নেই বলে জানালে তারা মোটরসাইকেলের চাবী ছিনিয়ে নেয়। বদিউজ্জামান এর প্রতিবাদ করলে উপস্থিত ৭ থেকে ৮ জন চিহিৃত যুবলীগের নেতাকর্মী তাকে এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করে।
সুত্র জানায়, বদিকে মারধর করা অবস্থায় তার স্ত্রী তাদের বাধাঁ দিতে গেলে তারা তার স্ত্রীকেও মারধর করে আহত করেন। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বানেশ্বর বাজারে বর্তমান এমপি মনসুর রহমানের অনুসারী ও সাবেক এমপি আবদুল ওয়াদুদ দারা’র অনুসারীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম বলেন, বানেশ্বর এলাকায় কিছু ছেলে বদিউজ্জামান নামের এক ব্যক্তিকে মারধর করেছে। এসময় তার স্ত্রী তাদের বাঁধা দিতে গিয়ে তিনিও আহত হন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এই বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।