বুধবার , ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | ২৯শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

পুঠিয়ায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে কুপ্রস্তাবের অভিযোগ

Paris
সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৮ ৭:৩৬ অপরাহ্ণ

পুঠিয়া প্রতিনিধি: রাজশাহীর পুঠিয়ায় ইউসুফ আলী মির্জা নামের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রীকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্তের পর কুপ্রস্তাব দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওই ছাত্রীর পরিবার মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতির কাছে বিচার চেয়ে মৌখিক অভিযোগ করেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) উপজেলার কান্দ্রা দাখিল মাদ্রাসার পরিচালনা পরিষদের সভাপতির কাছে এ অভিযোগ করা হয়। ইউসুফ আলী মির্জা উপজেলার কান্দ্রা দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। এছাড়াও তিনি পুঠিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের সাবেক আমীর ছিলেন বলে জানা গেছে। অভিযোগ শুনে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তাৎক্ষণিক পরিচালনা কমিটির জরুরি সভা আহ্বান করেন। সভায় তদন্তপূর্বক বিষয়টি খতিয়ে দেখা ও এর সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত শিক্ষককে প্রতিষ্ঠানে না আসার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির একাধিক সদস্য ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি আকবর আলী বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

পরিচালনা কমিটির সূত্রে জানা গেছে, কান্দ্রা দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক ইউসুফ আলী মির্জা তারই প্রতিষ্ঠানের এক ছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। শিক্ষক কর্তৃক এমন ঘটনাটি ওই ছাত্রী ভয়ে কাউকে বলতে পারেনি। চলতি মাসের মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) মাদ্রাসা চলাকালীন সহকারী শিক্ষক ফের ওই ছাত্রীকে সরাসরি কুপ্রস্তাব দেন এবং তার কথায় রাজি না হলে বিভিন্ন হুমকি দেন। পরে হুমকির ভয়ে ওই ছাত্রী বিষয়টি তার পরিবারের সদস্যদের অবগত করে। পরিবারের সদস্যরা এর প্রতিকার চেয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আকবর আলীকে জানালে তিনি বিষয়টি আমলে নিয়ে পরিচালনা কমিটির জরুরি সভা আহ্বান করেন।

আজ বুধবার এ ব্যাপারে আকবর আলী জানান, প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত সুপারকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত শিক্ষক ইউসুফ আলী মির্জাকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোন কারণে না আসার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান ভারপ্রাপ্ত সুপার হারুনুর রশিদ বলেন, তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়ার তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি তবে চেষ্টা করবো আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে।

অভিযোগের ব্যাপারে শিক্ষক ইউসুফ আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওই ছাত্রীকে স্থানীয় এক যুবক উত্ত্যক্ত করতো তাই সেই ছেলে কী বলে তাকে উত্ত্যক্ত করে সে ব্যাপারে ছাত্রীর কাছে জানতে চেয়েছি মাত্র। মঙ্গলবার বিকেলে পরিচালনা কমিটির সভায় তিনি উপস্থিত ছিলেন না। ফলে প্রতিষ্ঠানে যেতে বারণ করার বিষয়টিও তিনি জানেন না বলে দাবী করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

স/শা

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর