পুঠিয়ায় লকডাউন থেকে মুক্ত হলো ৪১ পরিবার

পুঠিয়া প্রতিনিধি:

রাজশাহীতে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় জেলার পুঠিয়া উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়নে। করোনা রোগী শনাক্তের পর তার বাড়িসহ সংস্পর্শে আসা ৪৩টি বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে লকডাউন ঘোষণা করেছিলো উপজেলা প্রশাসন। তবে লকডাউনের ১৬ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর করোনা আক্রান্তের বাড়ি ও তার বোনের বাড়ি বাদে ৪১ টি বাড়িঘর ও প্রতিষ্ঠান অবমুক্ত করা হয়েছে।

আজ (২৭ এপ্রিল) সোমবার বিকেলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের অবমুক্ত করার ঘোষনা দেয়া হয়েছে। তারা এখন স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারবেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ওলিউজ্জামান।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পুঠিয়া উপজেলাধীন ঝলমলিয়া হাট পেরিফেরিভুক্ত অঞ্চল এবং জিউপাড়া বগুড়াপাড়ায় লকডাউনকৃত অঞ্চলের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ লকডাউনে পড়া ৪৩ টি পরিবারের মধ্যে ৪১ টি বাড়ি ঘর ও প্রতিষ্ঠান অবমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ওলিউজ্জামান উপস্থিত থেকে এ ঘোষণা দিয়েছেন। তবে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ি ও তার বোনের বাড়ি লকডাউনের আওতায় থাকবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওলিউজ্জামান জানান, করোনা আক্রান্ত রোগী সনাক্তের পর তাদের লকডাউন করা হয়েছিলো। তাদের অনেকের করোনার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিলো তবে অন্য কারো শরীরে করোনা রোগ শনাক্ত হয়নি। এছাড়াও কারো করোনার লক্ষনও দেখা না দেয়ায় ঘোষণার ১৬ দিন পর তাদের অবমুক্ত করা হয়েছে। এতদিন তাদের মধ্যে অস্বচ্ছল ব্যক্তিদের সরকারী ও ব্যক্তিগত ভাবে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, এ ঘোষণার পর লকডাউনে থাকা ঝলমলিয়া হাট সিমিত আকারে চালু করা হবে। তবে আক্রান্তের বাড়ি ও তার বোনের বাড়ি পরবর্তি ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত লকডাউনে থাকবে।

স/আর