পুঠিয়ায় যুবকের গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা

পুঠিয়া প্রতিনিধিঃ


রাজশাহীর পুঠিয়ায় নিজ শয়ন কক্ষ থেকে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে সে ডিপ্রেশনে ভুগছিলো তাই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। শনিবার দিবাগত রাতের যে কোন সময় নিজ শয়ন কক্ষে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।

রোববার (১১ জুলাই) সকালে তার মা ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ ঝুলতে দেখে পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে । ওই যুবকের নাম খোকন (২০) সে উপজেলার ভালুকগাছি ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড পশ্চিমভাগ গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।

প্রতিবেশী আবদুর রশিদ জানান, আবুল কালামের দুই ছেলে একজন চাকুরির সুবাদে বাড়ির বাইরে থাকে। মৃত খোকন বাবা মা কে নিয়ে বাড়িতেই থাকতো। খোকনের স্ত্রীও চাকুরির সুবাদে ঢাকায় থাকেন। হঠাৎ রোববার সকালে তার মায়ের চিৎকার শুনে তাদের বাড়িতে গিয়ে দেখেন। খোকনের নিজ শয়ন কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় তার মরদেহ ঝুলছে। পরে তারা তাৎক্ষনিক পুঠিয়া থানা পুলিশ কে খবর দেন খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। পরিবারের বরাত দিয়ে তিনি আরো জানান, পরিবারের কারো সঙ্গে তার কোন ঝগড়া বিবাদ ছিলোনা।

প্রতিদিনের ন্যায় সে গত রাতেও ঘুমাতে যায়। খুব ভোরে তার মা ঘুম থেকে উঠে দেখেন তার ছেলের ঘরে লাইট জ্বলছে৷ এতো সকালে লাইট জ্বলতে দেখে তার মায়ের সন্দেহ হলে জানালা দিয়ে উকি দিয়ে দেখেন তার ছেলের মরদেহ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে। পরে তিনি চিৎকার দিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। খোকনের স্ত্রী চাকুরীর সুবাদে ঢাকায় থাকে। কিছুদিন হলো খোকন কারো সঙ্গে তেমন কথা বার্তা বলতো না একা একা থাকতো কি নিয়ে যেনো দুশ্চিন্তা করতো বলেও জানান তিনি।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধারের পর অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে ছেলেটি ডিপ্রেশনে ভুগছিলো। তাই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ ব্যপারে তার চাচাতো ভাই থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছেন।