পুঠিয়ায় মধ্যরাতে সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতির বাড়িতে হামলা, আহত ৪

পুঠিয়া প্রতিনিধি:

রাজশাহীর পুঠিয়ায় মধ্যরাতে উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি তুহিনুজ্জামান তুহিনের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে তুহিনের বাবা, মা, চাচা ও মেজোভাই সহ চারজন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত মেজোভাই শামীমকে তাৎক্ষনাত রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার দিনগত রাত পৌনে ১২ টার দিকে উপজেলার বেলপুকুর ইউনিয়নের জামিড়া গ্রামে এঘটনা ঘটে। তবে এসময় সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা তুহিন বাড়িতে ছিলেন না বলে জানিয়েছেন তুহিনুজ্জামান তুহিন।

আহতরা হলেন, উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা তুহিনের বাবা আবদুর রহমান (৬৫) , মা মনোয়ারা বেগম (৫৫) চাচা আবদুল আওয়াল (৪৭) ও তার মেজোভাই শামীম হোসেন (৪০)।

বেলপুকুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বেলপুকুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বদিউজ্জামান বদি, তার বড় ছেলে জেলা পরিষদের সদস্য আসাদুজ্জামান মাসুদ ও ছোট ছেলে উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক সুমনউজ্জামান সুমনের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন অস্ত্র হাতে এ হামলা চালায় বলে জানিয়েছে তুহিন।

তুহিনুজ্জামান বলেন, বেলপুকুরে আশ্রয়ন প্রকল্পে সরকার বিনা পয়সায় ঘর দেয়ার নামে বেলপুকুর ইউনিয়নের দড়িদ্র মানুষের কাছে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও তার ছেলে চাঁদাবাজি করে টাকা তোলে। আমি সে সময় এর প্রতিবাদ করায় এবং সম্প্রতি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান বদির একটি অশ্লীল ভিডিও প্রকাশ হয়েছে বলে শুনেছি। এঘটনায় আমাকে সন্দেহ করে আমার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে।

তুহিন আরো বলেন, ভাগ্যক্রমে আমি ব্যক্তিগত কারনে বাড়ির বাইরে থাকায় আমাকে না পেয়ে রামদা চাইনিজ কুড়াল দিয়ে আমার মা বাবা চাচা ও ভাইকে এলোপাথারি ভাবে কুপিয়েছে এবং আমার বাড়ি ঘর লুটপাট করে ভাংচুর করেছে। আহতদের মধ্যে শামীম হোসেনের অবস্থা গুরুতর তার রগ কেটে গেছে বর্তমানে সে রামেক হাসপাতালের ৫ নং ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে। ঘটনার সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও তাদের বাঁধা দেয়নি বলেও জানান ট সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা।

এব্যপারে উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক সুমনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গত ২৫ তারিখ আমার বাবাকে তুহিন একটি ইডিটিং করা অশ্লীল ছবি দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। নয়তো ফেসবুকে সে ছবি ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখায়য় সে।

হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, ঘটনা অন্য দিকে ঘোরাতে নিজেরাই বাড়ি ভাঙচুর করে নাটক সাজিয়েছে।

এব্যপারে বেলপুকুর ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারন সম্পাদক আবদুল জলিল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অশ্লীল ছবি ছড়ানো কে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি।

এব্যপারে জানতে বেলপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) গোলাম মোস্তফা ঘটনা কথা স্বীকার করে বলেন, চেয়ারম্যান সাহের একটি অশ্লীল ছবি নিয়ে দুইটি পক্ষ তৈরি হয় এনিয়ে তুহিন ও আমাদের চেয়ারম্যান সাহেবের মধ্যে একটু ঝামেলার সৃষ্টি হয়েছে।

হামলা চালানোর বিষয়টি অস্বীকার করে ওসি বলেন, সেখানে পুলিশ ছিলো হামলা চালানোর সুযোগ পায়নি। তবে এব্যপারে কোন পক্ষই থানায় অভিযোগ দেয়নি।

স/অ