পুঠিয়ায় পালানোর সময় প্রেমিক যুগল আটক

পুঠিয়া প্রতিনিধি:

প্রাইভেট পড়ার অযুহাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে প্রেমিক কর্মচারীর হাত ধরে পালানোর সময় এক তরুণী ও এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আজ (১৮ নভেম্বর) সোমবার সকালে পুঠিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুঠিয়া থানা পুলিশ।

আটককৃত যুবক টাঙ্গাইল সদর উপজেলার আউলটিয়া গ্রামের শাজাহান মিয়ার ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২৫) এবং প্রেমিকা তরুণী রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার চৌপুকুরিয়া গ্রামের জৈনক ব্যক্তির মেয়ে ও কাঠালবাড়িয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী।

সাদ্দাম হোসেন তার প্রেমিকা তরুণীর চাচার কর্মচারী ছিলেন। সে সুবাদে তরুনীর সাথে পরিচয় হয় এবং আস্তে আস্তে তাদের দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। কিন্তু পারিবারিকভাবে সম্পর্ক মেনে না নেয়ায় তারা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়।  আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশের কাছে এসব কথা স্বীকার করেছে।

পুলিশ জানায়, বাসস্ট্যান্ডের কাউন্টার মাস্টাররা তাদের দু’জনকে আটক করে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক আছে, সেই সম্পর্কের সুত্রধরে তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে যাচ্ছিলো বলে স্বীকার করে।

স্থানীয় কাউন্টার মাষ্টার দেলোয়ার হোসেন জানান, ভোর থেকে স্কুল ড্রেস পরিহিত মেয়েটি ব্যাগ হাতে বিভিন্ন বাস কাউন্টারে রহস্যজনক ভাবে ঘুরাফিরা করছিল। পরে সকাল ৯ টার দিকে একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে যুবকটি নেমে মেয়েটিকে নিয়ে যাবার সময় তাদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা প্রেমিক-প্রেমিকা বলে পরিচয় দেয় এবং পরিবার তাদের সম্পর্ক মেনে না নেয়ায় তারা পালিয়ে যাচ্ছিলো বলেও জানায় । পরে তারা থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে তাদের নিয়ে যায়।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম জানান, ছেলেটি মেয়ের চাচার কর্মচারী থাকা অবস্থায়  তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। কিন্তু পরিবার তাদের সম্পর্ক মেনে না নেয়ায় ছেলেটি মোবাইলে মেয়েটিকে বাড়ি থেকে পালিয়ে আসতে বললে সে প্রাইভেট পড়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে পুঠিয়া বাসষ্ট্যান্ডে অপেক্ষা করে। ছেলেটি টাঙ্গাইল থেকে মেয়েটিকে নিতে পুঠিয়ায় বাসস্ট্যান্ডে আসে। পরে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেয়। থানায় আনার পর তাদের দুই পরিবারকে খবর দেয়া হয়েছে। অভিভাবকরা আসলে এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

 

স/শা