পুঠিয়ায় নকল ক্রিমের ব্যবসা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

রাজশাহীর পুঠিয়ায় অন্তত দু’ডজন অবৈধ ক্রিম কারখানা থেকে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রির উদ্দেশে মানহীন রং ফর্সাকারী ক্রিম পাঠানো হচ্ছে, যা মানবদেহের ব্যাপক ক্ষতির কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে উপজেলা প্রশাসনকে ১২টি ক্রিম কারখানায় অভিযান ও বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হলেও কার্যকর হয়নি।

উপজেলার কয়েকটি স্থানে কিছু অসাধু ব্যক্তি দীর্ঘ দিন থেকে রং ফর্সাকারী নকল প্রসাধনী উৎপাদন করে আসছে। তাদের উৎপাদিত প্রায় দু’ডজন নকল প্রাসাধনী সারা দেশে বাজারজাত হয়ে থাকে। যা মানবদেহের মারাÍক ক্ষতির কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। এ কারণে ১৬ মে ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের যুগ্ম সচিব ফরিদ আহম্মদ স্বাক্ষরিত একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করার নিদের্শনাপত্র

রাজশাহী জেলা প্রশাসক ও একই নির্দেশনাপত্র পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর পাঠানো হয়েছে। ওই পত্রে ১২টি ভেজাল ও অবৈধ ক্রিম কারখানার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে মর্ডান হারবাল, রুপসী গোল্ড, মেডনা স্পট ক্রিম ও হারবাল, চ্যালেঞ্জার হারবাল ও প্রসাধনী, ডিজিটাল হারবাল, সীনা স্পট ক্রিম, রোমাঞ্চ হারবাল ও স্পট ক্রিম, ডায়মন্ড স্পট ক্রিম, ঝিলিক সলিসন, লাউস স্টার গোল্ড ও আইকন হারবাল, লাকি সেভেন স্পট ক্রিম এবং জ্যোতি বিউটি হারবাল।

পত্রে আরও উল্লেখ করা হয় ওই ক্রিম কারখানার মালিকরা বিএসটিআই কর্তৃক মাত্র দু-একটি পণ্যের অনুমোদন নিয়েছে। পরে কারখানার মালিকরা নামিদামি বিভিন্ন কোম্পানির মোড়ক ব্যবহার করে নকল একাধিক পণ্য উৎপাদন করছে। তাদের ওই পণ্যগুলো মানবদেহে ব্যাপক ক্ষতির কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। তারা স্টিলম্যান, টিয়ারিক এসিড, আইসোপ্রোপাইল, মাইরিস্টড, সাধারণ পানির মিশ্রণে এসব ক্রিম ও বিভিন্ন প্রসাধনী তৈরি করছে। কারখানার মালিকদের বাহারি বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে এসব পণ্য ক্রয় করে জনসাধারণ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

পাশাপাশি ক্রেতারা ওই ভেজাল পণ্য ব্যবহার করে বিভিন্ন চর্ম রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এদিকে নির্দেশনার দু’বছর হয়ে গেলেও রহস্যজনক কারণে নকল প্রসাধনী কারখানাগুলোতে প্রাশাসন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। পুঠিয়া বানেশ্বর বাজারে প্রথমে মর্ডান হারবাল রং ফর্সাকারী ক্রিম উৎপাদন শুরু করে। মর্ডান হারবাল কয়েক বছরের মধ্যে কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়া দেখে, তার ভাইবোন, আত্মীয়স্বজন, কর্মচারীরা অবৈধ ক্রিম ব্যবসা শুরু করে। ইউএনও মো. ওলিউজ্জামান বলেন, অচিরেই নকল প্রসাধনী তৈরির কারখানাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।