পুঠিয়ায় ঘুমন্ত নারীকে কুপিয়ে হত্যা

পুঠিয়া প্রতিনিধি:

রাজশাহীর পুঠিয়ায় কারিমা বেগম নামের এক ঘুমন্ত গৃহবধুকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারনা পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই হত্যাকান্ডটি ঘটানো হয়েছে। গত শনিবার (২৯ জুন) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের লেপপাড়া গ্রামে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।

এ ব্যপারে নিহত গৃহবধুর ছেলে বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করেছে। কারিমা বেগম (৪০) উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের লেপপাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের স্ত্রী। এছাড়াও আটককৃত সন্দেহভাজন ব্যক্তি হলেন, কাসেম উদ্দিন (৪৫) সে একই এলাকার আহসান প্রামানিকের ছেলে।

মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, গত ২৯ জুন শনিবার প্রতিদিনের ন্যায় রাতের খাওয়া শেষে কারিমা বেগম তার নিজ বাড়ির টিনের চালা দিয়ে ঘেরা বারান্দায় ঘুমাতে যান। তার একমাত্র ছেলে সন্তান খায়রুজ্জামান লিটন ঘরের ভেতরে শুয়ে ছিলেন।

রাত্রী আনুমানিক দেড়টার দিকে হঠাৎ কারিমা বেগমের আত্মচিৎকারে তার ছেলে খায়রুজ্জামান বেড়িয়ে টর্চ লাইট মেরে দেখেন তার মায়ের নাকের মাঝামাঝি দুই চোখের নীচে ধারালো অস্ত্র দ্বারা কুপিয়ে আহত করেছেন। পরে সন্তানের চিৎকারে মধ্যরাতে আশেপাশের লোকজন বেড়িয়ে এসে মায়ের এমন অবস্থা দেখে কেও তাকে ধরার সাহস পায়নি। পরে ভোর ৬ টার দিকে একটি এম্বুলেন্সে করে কারিমা বেগমকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসাপতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

সুত্র মতে, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধিন অবস্থায় পরেরদিন দুপুুরে কারিমা বেগম রক্তশূন্যতায় হাসপাতালের বেডে মারা যান। পরিবারের পক্ষ থেকে দাবী করা হচ্ছে, ভুক্তভুগি কারিমা বেগমের সঙ্গে অজ্ঞাত পূর্ব শত্রুতার জেরেই অজ্ঞাত আসামীরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়েছে। এ ব্যপারে গতকাল রোববার পুলিশ অভিযান চালিয়ে হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করেছেন। আটকের পর হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে একইদিন দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করেছেন।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ওসি সাকিল উদ্দিন আহম্মেদ জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই হত্যার উদ্দেশ্যে ওই নারীকে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা কুপিয়েছে। এ ব্যপারে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে। অত্যান্ত গুরুত্বের সঙ্গে মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে বলেও জানান ওসি সাকিল উদ্দিন আহম্মেদ।

 

স/আ