পুঠিয়া প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা সদরে অবস্থিত আল-মাহাদী ইসলামী হাসপাতাল নামের বেসরকারী ক্লিনিকে ভূল চিজিৎসায় নবজাতকসহ প্রসুতি মৃত্যুর ঘটনার চার মাস পর পলাতক ক্লিনিক মালিক মুনছুর রহমানকে (৫০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৯ টার দিকে উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নে মুনছুর রহমানের শশুর বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুঠিয়া থানা পুলিশ। গ্রেফতারের পর তাকে দুপুরেই রাজশাহীর আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমাণ্ডের আবেদন করেছে পুলিশ।
পুঠিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) রাকিবুল হাসান। জানা গেছে, চলতি বছরের ৯ আগস্ট উপজেলা সদরে অবস্থিত আল-মাহাদী ইসলামি হাসপাতাল নামের বেসরকারী ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় অপারেশন টেবিলে পেটের ভেতর নবজাতকসহ পান্না বেগম নামের এক প্রসুতির মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে তাৎক্ষনাত পুলিশ গিয়ে ক্লিনিকটিতে অভিযান চালায় ততক্ষনে ভুয়া ডাক্তারসহ ক্লিনিক মালিক মুনছুর আলী পালিয়ে যায়। এসময় ক্লিনিকের নার্স মারুফা খাতুনকে আটক করে পুলিশ এবং ততকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমা নাহার ক্লিনিকটি সিলগালা করেন বর্তমানে ক্লিনিকটি সিলগালা রয়েছে।
ঘটনার একদিন পর ১০ আগস্ট নিহত পান্না বেগমের স্বামী বাদী হয়ে পুঠিয়া থানায় ক্লিনিক মালিক মুনছুর রহমান, ভুয়া ডাক্তারসহ ৪ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় আটক নার্স মারুফা খাতুনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
এর আগে গত ১ অক্টোবর মামলার প্রধান আসামী ভুয়া ডাক্তার আবদুল করিমকে (৫০) নাটোরে তার শশুড় বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) ওসি তদন্ত রাকিবুল হাসান জানান, গতকাল মঙ্গলবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেরার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নে পলাতক মুনছুর রহমানের শশুড় বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সে দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। দুপুুরে তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। রিমান্ড আবেদনের শুনানি না হওয়ায় আদালতের বিচারক তাকে জেল-হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দিয়েছেন।
স/আ