শুক্রবার , ৩১ মে ২০১৯ | ২৮শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

পুঠিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানকে জেল হাজতে প্রেরণ

Paris
মে ৩১, ২০১৯ ৩:৪৪ অপরাহ্ণ

পুঠিয়া প্রতিনিধি: রাজশাহীর পুঠিয়ায় পুলিশের কাজে বাঁধা ও পুলিশকে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় প্রাথমিক তদন্তে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে ভালুকগাছি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পপতিবার তাদের গ্রেফতার করে। পরে আজ শুক্রবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের দাবি, সেই ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান তাকবীর হাসান ছিলেন মুল ইন্ধনদাতা। গ্রেফতার ইউপি চেয়ারম্যান তাকবীর হাসান আ.লীগের মনোনয়ন (নৌকা) পেয়ে ভালুকগাছি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এছাড়াও তিনি ভালুকগাছি ইউনিয়ন আ.লীগের সদস্য পদে রয়েছেন। গ্রেফতার অপরজন হলেন, ইউনিয়নের রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে নুরুন্নবী।

জানা গেছে, ভালুকাগাছি ইউনিয়নের হারোগাতি গ্রামে গত ২৬ মে রোববার রাত ১২ টার দিকে প্রেমিকার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে গিয়ে গ্রামবাসীর হাতে আটক হয় এক প্রেমিকসহ তার দুই সহযোগী। খবর পেয়ে আটককৃতদের উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে পুলিশের কাজে বাঁধা দেয় এলাকাবাসী। এতে পুলিশ ও এলাকাবাসীর মধ্যে তুলকালাম ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশ সদস্যদের সেখানে অবরুদ্ধ করে রাখা ছাড়াও পুলিশের গাড়ির চাকার টায়ার কেটে হাওয়া ছেড়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে অবরুদ্ধ পুলিশ সদস্য ও আটক প্রেমিক এবং তার দুই সহযোগীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় পরের দিন সোমবার থানায় প্রেমিকা কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে আটক প্রেমিক ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধ ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

এদিকে একইদিন থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) নিলকান্ত বাদী হয়ে পুলিশের কাজে বাঁধা দেয়ার ঘটনায় আলাদা একটি মামলা দায়ের করেন। এতে ১৪ জনকে এজাহার নামীয় এবং আরো অন্তত ৩০/৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাকিল উদ্দিন আহম্মেদ জানান, ঘটনার সময় সরাসরি সম্পৃক্ত নুরুন্নবীকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ইন্ধনদাতা হিসেবে ইউপি চেয়ারম্যান তাকবীর হাসানের কথা স্বীকার করে। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ইউপি চেয়ারম্যান তাকবীর হাসানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পর থানায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

স/শা

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর