বুধবার , ৩ মে ২০১৭ | ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

পুঠিয়ায় আম দেড় থেকে দু টাকা কেজি, যাচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে

Paris
মে ৩, ২০১৭ ৬:১৬ অপরাহ্ণ

মইদুল ইসলাম মধূ, পুঠিয়া:

রাজশাহীর পুঠিয়ায় গত দু‘দিনের কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে উপজেলার একটি পৌরসভা সহ ৬ টি ইউনিয়নে ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। ঝরে আম, কলা, ধান, ভূট্রা সহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে ও গাছ পালা উপরে গেছে। বাড়ি ঘর তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে রাজশাহীর অর্থনীতির প্রাণ আমের।

আম চাষিরা বলছেন গত দু“দিনের কালবৈশাখী ঝরে প্রায় প্রতিটি বাগানের চার ভাগের মধ্যে তিনভাগ আম পড়ে গেছে। আর সেই আম আবার বিক্রি হচ্ছে কেজি দড়ে। উপজেলার বানেশ্বর হাট, শীবপুর হাট, বিড়ালদহ বাজার, পুঠিয়া ত্রিমোহনি বাজার ও ঝলমলিয়া হাট ঘুড়ে দেখা গেছে, গত দু‘দিনের কালবৈশাখী ঝরে পড়া আম কেনা বেচা হচ্ছে দেড় টাকা থেকে দুই টাকা কেজিতে।

বানেশ্বর হাটের পাইকারী আম ব্যবসায়ীরা সিল্কসিটি নিউজকে জানান, ঝরের পর থেকেই আম কেনা হচ্ছে সেই আম বস্তা বন্দি করে ট্রাকে করে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানো হচ্ছে।

এছাড়াও বিভিন্ন জুস কোম্পানি গুলোও এই আম ক্রয় করছে। পুঠিয়ার ধনঞ্জয়পাড়া গ্রামের আম ব্যবসায়ী মাসুদ রানা। তিনি এলাকায় কয়েকটি আম বাগান লিজ নিয়ে আমের ব্যবসা করছেন।

তিনি জানান, গত দু‘দিনের কালবৈশাখী ঝরে তার কয়েকটি বাগানে চারভাগের প্রায় তিন ভাগ আম পড়ে গেছে। কিছু আম কুড়িয়ে হাটে বিক্রিও করেছেন। তবে সেই আম বিক্রির টাকা দিয়ে ভ্যান ভাড়াও হচ্ছেনা।

তিনি আরো বলেন, আগামীতে যদি এমন ঝর আর দু‘একটি হয় তাহলে পরিবার নিয়ে রাস্তায় নামা ছাড়া উপায় নেই।

তবে পুঠিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুনজুর রহমান সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, আম এমনিতেই পরবে এবং ঝরের আগে তৃব্র তাপপ্রবাহ হওয়ায় কিছু আম ঝরেছে। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হয়েছে গত দুদিনের কালবৈশাখী ঝরে ৩শতাংশ আম পড়েছে তবে ক্ষতির পরিমান এখনও নির্ণয় করা হয়নি।

এদিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষথেকে উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়নের মেয়র, চেয়ারম্যানদের নিজ নিজ এলাকার ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নির্ণয়ের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এব্যপারে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সালাউদ্দিন আল ওয়াদুদু জানান, একটি পৌরসভা ও ৬ টি ইউনিয়নের ক্ষয়ক্ষতি নির্ণয়ের তথ্য এখনও উপজেলায় আসেনি । আসলে ঝরে ক্ষতির সঠিক তথ্য জানানো যাবে। তবে এরি মধ্যে কয়েকটি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে সহযোগীতা করা হয়েছে।

স/অ

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর