পুঠিয়ায় অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর ‘ধর্ষণ’র কথা জানালো স্কুলছাত্রী

পুঠিয়া প্রতিনিধি:

রাজশাহীর পুঠিয়ায় অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর ‘ধর্ষণ’র কথা জানিয়েছে এক স্কুলছাত্রী। তার সহপাঠীর কাছে ধর্ষিত হওয়ার অভিযোগ তুলেছে সে। কিছুদিন আগে স্কুল থেকে শিক্ষা সফরে যায় তারা বলে জানায় ওই ছাত্রী। এসময় ভাড়া করা রুমে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে তার এক সহপাঠী।

শুক্রবার কিশোরীর চাচা এসব তথ্য জানান। তবে তাদের দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো বলেও স্বীকার করেন তিনি। শিক্ষা সফরে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হলেও কিশোরীটি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর সম্প্রতি বিষয়টি প্রকাশ পায়। এ বিষয়ে শুক্রবার ‍দুপুর পর্যন্ত থানায় লিখিত কোনো অভিযোগ করা হয়নি।

নির্যাতনের শিকার কিশোরী উপজেলার বেলপুকুর ইউনিয়নের জনৈক ব্যক্তির স্কুল পড়ুয়া মেয়ে (১৪) এবং কথিত প্রেমিক একই ইউনিয়নের বড়ধাদাস গ্রামের জৈনক ব্যক্তির স্কুল পড়ুয়া ছেলে (১৪)। তারা দু’জনই ধাদাস উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

শিক্ষা সফরে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান এবং স্কুল কমিটির সভাপতি জিল্লুর রহমান। তারাও শিক্ষা সফরের অনুষ্ঠানে ছিলেন। তবে ধর্ষণের বিষয়ে তারা আগে কিছুই শোনেননি বলে জানান।

ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বরাত দিয়ে তার চাচা জানান, প্রায় দেড় মাস আগে পুঠিয়া থেকে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কুয়াকাটায় শিক্ষা সফরে যায় তারা। সেখানে কথিত প্রেমিক ওই কিশোরীকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে একটি ভাড়া করা কক্ষে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।

সে সময় ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি প্রকাশ পায়নি। সম্প্রতি কিশোরীটি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরে ধর্ষণের বিষয়টি প্রকাশ পায়। পরে কিশোরীকে জিজ্ঞাসা করলে সে সব ঘটনা খুলে বলে।

দু’পক্ষকে নিয়ে বিষয়টি মীমাংশার জন্য একাধিক বার ঘরোয়া বৈঠক হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে দু’পক্ষের মাঝে স্কুল মাঠে ফের সালিশ বৈঠক হয়েছে বলে ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত (দুপুর দুইটা) কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। কিশোরীর পরিবার জানান, মানসম্মান নিয়ে যাতে বেঁচে থাকতে পারেন এমন সমাধান হলেই তারা সন্তুষ্ট।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল মান্নান মুঠোফোনে জানান, শিক্ষা সফর থেকে আসার পরে তারা নিয়মিত ক্লাস করেছে। কিন্তু আমরা এর কিছুই জানি না। হঠাৎ বিষয়টি জানার পর পরিচালনা কমিটির সঙ্গে বসা হয়েছে। এখানে পরিচালনা কমিটির সভাপতিও আছেন।

স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি জিল্লুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনিও বিষয়টি আগে থেকে জানতেন না বলে জানান। প্রধান শিক্ষকের মুঠোফোনে সভাপতি বলেন, ঘটনাটি জানার জন্য স্কুলে বসা হয়েছে।

স/শা