পুঠিয়ার পৌর মেয়র সৎ চরিত্রের প্রত্যয়ন দেয় মাদক ব্যবসায়ী লিয়াকতকে

পুঠিয়া প্রতিনিধি:
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা লিয়াকত আলী মণ্ডল (৪০) নিহত হয়েছে।
গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার বেলপুকুর ক্ষুদ্র জামিরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। র‌্যাবের দাবি, নিহত লিয়াকত এলাকার মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে ১ টি নাশকতাসহ ৮ টি মামলা রয়েছে।
নিহত লিয়াকত আলী মণ্ডল পুঠিয়ার বানেশ্বর ইউনিয়নের নামাজগ্রাম এলাকার জাক্কার আলীর ছেলে। তিনি স্থানীয় বানেশ্বর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ছিলেন।
চলতি বছরের গত ৮ ফেব্রুয়ারি পুঠিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও পুঠিয়া পৌরসভার মেয়র রবিউল ইসলাম রবি নিহত লিয়াকত রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন না বলে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছিলেন। এতে রবি লেখেন, ‘আমি তাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি ও জানি। সে একজন সৎ চরিত্রের পরিশ্রমী ছেলে। আমার জানামতে, সে কোনো রাষ্ট্রবিরোধী কাজে জড়িত নহে।’এব্যপারে মেয়র রবিউল ইসলাম রবি বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীদের চাপে সে সময় প্রত্যয়নপত্রটি দিয়েছিলাম। সে সময় আমি খুব ব্যস্তও ছিলাম। যে কারনে যাচাই বাছাই করতে পারিনি। এমনকি আমি থানার ওসি সাহেব কে ফোনও দিয়েছি ওসি সাহেবও বললেন তার বিরুদ্ধে থানায় কোন মামলা নেই। ব্যক্তিগত ভাবে আমি মাদককে ঘৃণা করি বলেও দাবী করেন মেয়র।
 

র‌্যাব-৫-এর উপ-অধিনায়ক মেজর আশরাফুল ইসলাম জানান, রাতে বেলপুকুরের ক্ষুদ্র জামিরা এলাকায় র‌্যাবের একটি টহল দল মাদকবিরোধী অভিযান চালায়। এসময় মাদক ব্যবসায়ীরা র‌্যাবের টহল দলের ওপর অতর্কিত গুলিবর্ষণ শুরু করে। র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় লিয়াকত মোটরসাইকেল নিয়ে পালাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়। এসময় অন্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে গুলিবিদ্ধ লিয়াকতকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৮২৩ পিস ইয়াবা, দুই রাউন্ড গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে র‌্যাব। এদিকে নিহত লিয়াকতের স্ত্রী নেহের বানু বলেন, রোববার দুপুরের আগে থেকে লিয়াকত নিখোঁজ ছিলেন। পরে রাতে তাঁরা খবর পান, লিয়াকত বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে।
বেলপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘বন্দুকযুদ্ধ থেকে লাশ উদ্ধার করা পর্যন্ত সবকিছু র‌্যাব দেখছে। আমরা এ ব্যাপারে কিছু জানি না।
স/আ