পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি :
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়নের গাওপাড়া ঢালান গ্রামে স্বামীকে খুঁজতে গিয়ে এক নারীকে দেবর শ্লীতাহানীর চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নারীকে উদ্ধার করে আদালতের মাধ্যমে নিরাপত্তায় হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ কয়েকমাস থেকেই এই মহিলা তার স্বামীর বাড়িতে উঠার জন্য থানা, পৌরসভার মেয়রসহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের কাছে দ্বারস্থ হন। তারা আশ্বাসও দেন তাকে সঠিক সমাধান করে দেবেন। কিন্তু তার দেবর টাকা পয়সা দিয়ে সব জায়গায় নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার কারণে কোন বিচার পাননি। গতকাল সন্ধ্যায় সে তার দেবরের বাড়িতে স্বামীকে খুঁজতে গেলে সেই বাড়িতে তার দেবর আব্দুল খালেকসহ বেশ কয়েকজন তাকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। প্রথমে লতা বেগম দেবরের বাসায় গেলে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। এরই মধ্যে একজন টেলার মাস্টার এসে পিছন থেকে লতাকে ধরে এবং লতার দেবর আব্দুল খালেক তারা লতা ব্যবহারে শ্লীলতাহানি চেষ্টা করেন।
পরে তার চিৎকারে অনেক মানুষ জড়ো হলে টেলার মাস্টার সেখান থেকে পালিয়ে যায় এবং তার দেবর স্থানীয় বখাটে ছেলেপেলে ডেকে এনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে এমনতো পরিস্থিতিতে বহিরাগত ছেলেপেলে সেই বাড়ির বারান্দার লাইট অফকরে মেয়েটিকে পুলিশের সামনে টেনে হেঁচড়ে রাস্তাতে নিয়ে আসে কিন্তু পুলিশ এই অবস্থাতেও মেয়েটির কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। উল্টো মেয়েটিকে বিভিন্নভাবে অপমান অপদস্থ করেন সকলের সামনে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মহিলার স্বামী মান্নান বলেন, ২০১৪ সালে আমাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। প্রাক্তন স্ত্রী এরপর আমার নামের সাতটি মামলা করেছে মামলাগুলো এখনো চলমান। তবে গতকাল আমার ভাইয়ের বাসায় কি ঘটনা ঘটেছে তা আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে পুঠিয়া থানার (ওসি) কবির হোসেন বলেন, এই মহিলার জীবনের ঝুঁকি ছিল তাই তাকে উদ্ধার করে আদালতের মাধ্যমে সেভজনে পাঠানো হয়েছে। বাকি সিদ্ধান্ত আদালত নিবে।