সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও অর্থপাচারের দায়ে অভিযুক্ত প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) সহযোগী হিসেবে গ্রেপ্তার উজ্জ্বল ও রাশেদুলকে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আনা হয়েছে।
আজ সোমবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাদের সেগুনবাগিচা দুদক কার্যালয়ে আনা হয়।
গতকাল রবিবার (২৪ জানুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান এই দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেন।
এরা হলেন পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যানশিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের (পিএলএফএসএল) চেয়ারম্যান উজ্জ্বল কুমার নন্দী ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যানশিয়াল সার্ভিসেসের (আইএলএফএসএল) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাশেদুল হক।
দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার বলেন, গ্রেপ্তার দুজনের বিরুদ্ধে ৭০ কোটি ৮২ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও অর্থপাচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রাশেদুল হক মূলত পি কে হালদারের ডান হাত হিসেবে পরিচিত। ২০১০ সালে পি কে হালদার যখন রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের এমডি ছিলেন, তখন রাশেদুল হক ওই প্রতিষ্ঠানের ডিএমডি ছিলেন। ২০১৫ সালে রাশেদুল ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের এমডি পদে যোগ দেন। এই পদে থাকা অবস্থায় তিনি যাচাই-বাছাই ছাড়াই প্রায় ৪০টি প্রতিষ্ঠানকে আড়াই হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছেন, যেগুলোর বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কোনো মর্টগেজ ছিল না।
গ্রেপ্তার উজ্জ্বল কুমার নন্দী ২০১০ সাল পর্যন্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইআইডিএফসির কম্পানি সচিব ছিলেন। ২০১৩ সালের অক্টোবরে তাঁকে এফএএস ফিন্যান্সের পরিচালক করেন পি কে হালদার। এরপর তাঁকে আনন কেমিক্যাল ও পিপলস লিজিংয়ের চেয়ারম্যান করা হয়। একই সঙ্গে উজ্জ্বল নন্দীকে নর্দান জুট, রহমান কেমিক্যাল ও ক্লিউইস্টন ফুডের চেয়ারম্যানের পদ দেন পি কে হালদার।
সুত্রঃ কালের কণ্ঠ