পি কে হালদারকে ধরতে ইন্টারপোলের সাহায্য নিতে আবেদন করবে দুদক

আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশ মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) নির্দেশ দিতে হাইকোর্টে আবেদন করবে দুর্নীতি দমন কমিশন।

একই সঙ্গে পি কে হালদারসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননারও অভিযোগ আনা হবে। দেশে ফেরার জন্য হাইকোর্টের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়ার পরও নির্ধারিত দিন ও সময়ে দেশে না ফেরায় এই আইনি পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে দুদক। সংস্থার আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান গতকাল রবিবার এ তথ্য জানিয়েছেন।

পি কে হালদারের বিরুদ্ধে প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুদক। তিনি ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসেস লিমিটেডেরও (আইএলএফএসএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা লোপাট করে চলতি বছরের শুরুর দিকে বিদেশে পালিয়ে যান তিনি। এর পর তাঁকে প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হয়। পরে তিনি টাকা উদ্ধার করে দেওয়ার কথা জানিয়ে আইএলএফএসএলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

পি কে হালদার নিরাপদে দেশে ফিরে যাতে আদালতের হেফাজতে যেতে পারেন সে জন্য হাইকোর্টের নির্দেশনা চেয়ে গত ৭ সেপ্টেম্বর আবেদন করে নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইএলএফএসএল। গত ২১ অক্টোবর এক আদেশে দেশের বিমানবন্দরে পা রাখামাত্রই পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার করতে নির্দেশ দেন আদালত। কিন্তু তিনি নির্ধারিত দিনে দেশে ফেরেননি।

গত শুক্রবার আইএলএফএসএলকে জানিয়েছেন, তিনি করোনা উপসর্গে আক্রান্ত। এ কারণে দেশে ফিরতে পারছেন না। দেশে ফেরার পরবর্তী তারিখ ও সময় পরে জানানো হবে। এই চিঠির কপি আইএলএফএসএল তাঁর আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলনের মাধ্যমে শনিবার দুদক ও অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়কে দিয়েছে।

এ বিষয়ে আইএলএফএসএলের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, হাইকোর্ট খুললে বিষয়টি আদালতকেও অবহিত করা হবে।

অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, কোনো পলাতক ব্যক্তি আত্মসমর্পণ করার আগে কোনো ধরনের আইনি সুবিধা পেতে পারেন না। তিনি (পি কে হালদার) মিথ্যা তথ্য দিলে তাঁর বিরুদ্ধে আদালতই ব্যবস্থা নেবেন। তিনি বলেন, পি কে হালদার অসুস্থ কি না জানি না। হাইকোর্টের নির্দেশ ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় বিমানবন্দরে নামার সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে।’

দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আইএলএফএসএলের একটি চিঠি পেয়েছি। কিন্তু তিনি যে অসুস্থ তার কোনো প্রমাণ নেই। কার্যত এই চিঠি দেওয়াটা আদালত অবমাননার শামিল।’

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ