পিস টিভি বন্ধের সিদ্ধান্ত: মন্ত্রী সভার বৈঠক শেষে আমু

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ভারতের পর বাংলাদেশেও পিস টিভির সম্প্রচার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ দুপুরে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রীসভা কমিটির বৈঠক শেষে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

এছাড়াও ওই সভায় স্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে নজরদারি বাড়ানোরও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর সভাপতিত্বে এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক সম্পর্কে তিনি বলেন, এটি কোনো নির্ধারিত বৈঠক নয়, ঈদের ছুটি শেষে জরুরি ভিত্তিতে এ বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠকে বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় গুলশানের অনুমোদন ছাড়া সকল হোটেল রেস্টুরেন্ট এবং স্কুল কলেজ সরিয়ে ফেলারও সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

এতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বি.এসসি, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক চুন্নু, পুলিশ মহাপরিদর্শক একেএম শহিদুল হকসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।

বাংলাদেশ সরকার অভিযোগ বিশ্বাস করেনি: জাকির নায়েক

এদিকে ভারতের বিতর্কিত ইসলামী বক্তা জাকির নায়েক দাবি করেছেন, তার বক্তব্যে অনুপ্রাণিত হয়ে তরুণরা জঙ্গিবাদে ঝুঁকছে- এমন অভিযোগ বাংলাদেশ সরকারের লোকজন বিশ্বাস করে না বলে তাকে জানিয়েছেন। ভারতে জাকির নায়েকের পিস টিভির সম্প্রচারে নিষেধাজ্ঞা এবং বাংলাদেশেও একই দাবি জোরালো হয়ে ওঠার প্রেক্ষাপটে তিনি এ দাবি করেছেন বলে টাইমস অব ইনডিয়ার খবর। জাকির নায়েক দাবি করেছেন, আমি বাংলাদেশ সরকারের লোকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমাকে বলেছেন, বাংলাদেশের জঙ্গিদের আমি নিরীহ মানুষকে হত্যা করতে অনুপ্রাণিত করেছি- এমন অভিযোগ তারাও বিশ্বাস করেন না। তাদের মধ্যে একজন আমার ফ্যান ছিল, সেটা আলাদা বিষয়।

এক ডিডিও বার্তায় তিনি বলেন, সারা বিশ্বে আমার কোটি কোটি ভক্ত আছে। বাংলাদেশের অর্ধেক মানুষই আমার ফ্যান। কিন্তু আমি তাকে মানুষ খুন করতে উৎসাহ দিয়েছি- এটা বলা শয়তানি। বর্তমানে সৌদি আরবে অবস্থানরত এই ইসলামিক বক্তার ভাষ্য, বিশ্বে একমাত্র যুক্তরাজ্যেই তাকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। মালয়েশিয়ায় তাকে নিষিদ্ধ করার খবর অস্বীকার করে জাকির নায়েক বলেন, তিন বছরেরও কম সময় আগে তিনি দেশটির সর্বোচ্চ পদক তোকো মাল হিজরাহ পেয়েছেন। সুতরাং নিষিদ্ধ করার যে খবর বেরিয়েছে তা যুক্তিহীন।

গত ২৫ বছরে আমি হলাম চতুর্থ বিদেশি, যে ওই পুরস্কার পেয়েছে। যে লোক সন্ত্রাসবাদের পক্ষে, তাকে কি তারা পুরস্কার দিতে পারে? ঢাকার পত্রিকার খবর যাচাই না করেই ভারতীয় পত্রিকা ওইসব লিখছে। জাকির নায়েক পরিচালিত মুম্বাইভিত্তিক ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিষ্ঠান হল এই পিস টিভি। এ টিভিতে ধর্ম নিয়ে আলোচনায় ইসলামের যে ব্যাখ্যা তিনি দেন, তা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।