‘পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ দিলেই হবে না, খোঁজও নিতে হবে’

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন কারো পিতা-মাতাকে যেন কোনোভাবে বৃদ্ধাশ্রমে যেতে না হয় সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

আজ সোমবার রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে সিনিয়র সিটিজেনস ওয়েলফেয়ার সোসাইটির উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণেয় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, সন্তানদের শুধু পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ দিলেই হবে না, তাঁদের সব বিষয়ে খোঁজখবর রাখতে হবে। শুধু পিতা-মাতার সেবা করলেই হবে না, সন্তান যদি চাকরি করে তাহলে সন্তানের বেতন থেকে বৃদ্ধ বয়সে তাঁদের কিছু অংশ দিতে হবে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, সন্তানরা তাঁদের পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ দেওয়ার পাশাপাশি দাদা-দাদি, নানা-নানির প্রতিও দায়িত্ব পালন করবেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান ও সিনিয়র সিটিজেনস ওয়েলফেয়ার সোসাইটির চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ।

জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম, সাবেক মন্ত্রী এ বি এম গোলাম মোস্তফা, সংগঠনের মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার মো. ফজলুল হক।

এতে আরো বক্তব্য দেন অনুষ্ঠান আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক এ কে এম রেজাউল হক, সংবর্ধিত মুক্তিযোদ্ধা লে. জেনারেল এম হারুন-অর-রশিদ (অব.) বীরপ্রতীক ও অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সংগঠনের পৃষ্ঠপোষক অধ্যক্ষ ডা. মো. আমিরুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে দেশের প্রখ্যাত ৯ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। মুক্তিযোদ্ধারা হলেন লে. জেনারেল এম. হারুন-অর-রশিদ (অব.) বীরপ্রতীক, অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান, বিচারপতি মো. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, মেজর জেনারেল জীবন কানাই দাস (অব.), প্রফেসর ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী, প্রকৌশলী মো. কবির আহমেদ ভুঞা, মো. হারুনার রশিদ জমাদ্দার, মোহাম্মদ আহম্মদ হোসেন আদু ও মো. আবদুল করিম সরকার।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ