সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
১৫ দিন পর পটুয়াখালীর কলাপাড়ার পায়রা তাপবিদ্যুত্ কেন্দ্রে কাজে যোগ দিয়েছে বাঙালি শ্রমিকরা। এতে কর্মমুখর হয়ে উঠেছে বিদ্যুেকন্দ্র এলাকা। বুধবার কাজে যোগ দেওয়া ৩০৮ বাঙালি শ্রমিকের সেফটি প্রশিক্ষণ ও পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে চায়না শ্রমিকদের সঙ্গে তারা কাজ শুরু করেছে।
বিসিপিসিএল কর্তৃপক্ষ জানায়, বিদ্যুেকন্দ্র এলাকায় ১২টি ম্যান পাওয়ার এজেন্সিকে শ্রমিক সরবরাহের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে। নর্থ ইস্ট (নম্বর-১) ইলেক্ট্রিক পাওয়ার কনস্ট্রাকশন করপোরেশন লিমিটেড (এনইপিসি) কর্তৃপক্ষ পর্যায়ক্রমে আরো এজেন্সিকে শ্রমিক সরবরাহের অনুমতি দেবে। কাজে যোগ দেওয়া শ্রমিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র নিশ্চিত হওয়ার পর তাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বিসিপিসিএলের জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার শাহ মনি জিকো জানান, এখন পায়রা তাপবিদ্যুত্ কেন্দ্র চীনা ও বাঙালি শ্রমিকের পদভারে মুখরিত হয়ে ওঠেছে। তারা সমন্বিতভাবে বিদ্যুত্ প্লান্টের নির্মাণকাজে নিয়োজিত।
নির্বাহী প্রকৌশলী রেজওয়ান ইকবাল খান জানান, ‘বাংলাদেশি শ্রমিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে তা নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হচ্ছে যাতে কেউ ভুয়া পরিচয়পত্র দিয়ে এখানে কাজ করতে না পারে। এতগুলো শ্রমিকের যাচাই-বাছাই করা যেহেতু একটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার তাই আমাদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে নির্বাচিত কিছুসংখ্যক শ্রমিকদের আজ কাজে যোগদান করানো হয়েছে। ৩০৮ জন বাংলাদেশি শ্রমিক পূর্বের মতো সেফটি ড্রিল প্রশিক্ষণ শেষে চাইনিজদের সঙ্গে একযোগে কাজ শুরু করেছে।
গত ১৮ জুন পায়রা তাপবিদ্যুত্ কেন্দ্রের অভ্যন্তরে এক বাঙালি শ্রমিক নিহতের ঘটনায় সৃষ্ট সংঘর্ষে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে এক চায়না প্রকৌশলী মারা যান। এ ঘটনার পর থেকে বিদ্যুেকন্দ্রে বাঙালি শ্রমিকদের ১৫ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়।
