মঙ্গলবার , ৯ অক্টোবর ২০১৮ | ১২ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

পাতায় পাতায় কৃষকের স্বপ্ন

Paris
অক্টোবর ৯, ২০১৮ ১১:১৯ পূর্বাহ্ণ

শাহিনুল ইসলাম আশিক, দুর্গাপুর থেকে ফিরে:

তখন বিকেল তিনটা হবে। গাছ থেকে প্রায় পান ভাঙা শেষ। জমির পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে পানচাষি মুক্তার আলী। আর ছেলেকে পাঠিয়েছেন স্থানীয় বাজারে পান বিক্রি করতে। পানের ফলন ভালো। দামও বেশি থাকায় বেশ খুশি ওই অঞ্চলের কৃষকরা। তিনি বলেন, গত প্রায় ১০ বছরের তুলনায় এবছরে পানের দাম সবচেয়ে বেশি।

পান রাজশাহী ও এর আশপাশের এলাকায় লাভজনক (অর্থকরি) ফসল হিসেবে অনেক আগে থেকেই বেশ পরিচিতি লাভ করেছে। এই অঞ্চলের কৃষকরা পান চাষ করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। রাজশাহী জেলার মোহনপুর, যেখানে মিষ্টি পান উৎপাদন হয়। তাই মোহনপুরের পানের বেশ কদর রয়েছে দেশ জুড়ে।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক দেব দুলাল ঢালি বলেন, রাজশাহী জেলায় ২৪শ’ হেক্টর জমিতে পান চাষ হয়েছে। মোহনপুরে সর্বাধিক পান চাষ হয়। এই উপজেলায় প্রায় সাড়ে আটশ’ হেক্টর জমিতে পান চাষ করা হয়েছে। এছাড়া বাগমারায় সাড়ে পাঁচশ’ হেক্টর জমিতে ও দুর্গাপুর ও পবা মিলে প্রায় হাজার হেক্টর জমিতে পান চাষ হয়েছে।

তিনি বলেন, এবছর পান চাষ বেশ ভালো হয়েছে। তেমন রোগ বালাই নেই। এছাড়া অতিবৃষ্টি, শীত ও গরমে পানে পচন দেখা দিলেও এবছর তা হয়নি। গোড়া পচন রোগ দেখা দিলে কৃষকদের ছত্রাক নাশক (ওষুধ) দিতে পরামর্শ দেন বলে এই কর্মকর্তা জানান।

অন্যদিকে রাজশাহীর অঞ্চলে প্রতিবছর বাড়ছে পানের চাষ। অর্থকরি ফসল হিসেবে পানের বেশ কদর রয়েছে। রাজশাহীর মোহনপুর, বাগমারা, ভবানীগঞ্জ, দুর্গাপুর ও পবায় পান চাষে বেশ সুবিধা রয়েছে। এই এলাকার হাট-বাজারগুলোতে কৃষক সুবিধামত পান বিক্রি করতে পারেন নগদ টাকায়। এছাড়া বাড়ির কাছে হওয়ায় পরিবহন খরচ তেমন হয় না বলে জানান কৃষকরা।

দুর্গাপুরের বকতিয়ারপুরের পানচাষি মুক্তার জানায়, তিনি ১৫ কাঠায় পান চাষ করেছেন। এখানে প্রায় ১০ পোন পান লেগেছে তার। এছাড়া এক খুঁটি থেকে আরেক খুঁটির দুরত্ব দুই থেকে আড়ায় হাত হয়ে থাকে। এরকম ৮০টি খুঁটিতে এক পোন পান হয়। আর দশ কাঠার মাটিতে ৫৬০টি খুঁটি মিলে সাত পোন পান বরজ তৈরি করা হয়।

তিনি আরো বলেন, ৬৪ টা পানে এক বিড়া। ৩২ বিড়ায় এক পোয়া। প্রতি পোয়া মোটা পান বাজারে বিক্রি হচ্ছে সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকায়। আর মাঝারি দুই হাজার থেকে ২৫শ’ এবং ছোট পান বিক্রি হচ্ছে ৬শ’ থেকে ১২শ’ টাকা পোয়া দরে। আর প্রতিটি মোটা পানের দাম পড়ছে এক টাকা ৯৫ পয়সা।
মোহনপুরের পান ব্যবসায়ী মকবুল হোসেন বলেন, এবছর পানের দাম বেশ ভালো। গত বছর এই সময়ে পান বিক্রি করে তেমন টাকা পাওয়া যায়নি। এবছর পান হাটে নিলেই ভালো দামে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া এবছর পানে তেমন পচন বা রোগ বালাই দেখা দেয়নি।

তিনি আরো বলেন, মোহনপুরে হাটের দিনে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকার পান বিক্রি করেন। আর সপ্তায় দুই হাটে তিনি প্রায় ২৫ থেকে ২৮ হাজার টাকার পান বিক্রি করেন।

 

স/আ

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর