পাখিদের বন্ধু সমোর

পাবনা থেকে ফিরে স্বর্ণা :

তখন খুব সকাল। আনুমানিক ছয়টা হবে। আগে থেকে পাখিদের কিচির-মিচির। একটু পরে শ্যামল দই ভান্ডার খুললেন সমির কুমার ঘোষ। পাখির দলে দলে মহুর্তে ভর্তি হলো পুরো আঙিনা। কেউ কেউ ভালোবাসার উষ্ণতা পেতে ধরা দিচ্ছে সমির কুমারের হাতে।

গত রোববার এমন দৃশ্য পাবনা জেলার এম হামিদ সড়কের শ্যামল দই ভান্ডারে সামনে দেখা মেলে। তিনি দীর্ঘ প্রায় সাত বছর ধরে গাং শালিক পাখিদের সকালের খাওয়ান।

পাখিদের খেতে দিচ্ছে সমোর- সিল্কসিটিনিউজ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সূর্য উদয়ের সাথে সাথে পাবনা শ্যামল মিষ্টান্ন ভান্ডারের আঙিনায় দল বেধে আসে হাজারও গাং শালিক। গাং শালিক সাধারণত নদীর তীরে দেখা যায়। পাখির কিচির-মিচিরে মুখোর হয়ে উঠে পুরো এলাকা। এই পাখিদের বন্ধু সমোর কুমার ঘোষ।

প্রতিদিন ভোর বেলায় নিজ হাতে পাখিদের খাবার খাওয়ান তিনি। দীর্ঘ সাত বছর ধরে পাখিদের খাওয়াচ্ছেন তিনি। বর্তমানে প্রতিদিন আনুমানিক ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার পাখি এসে খাওয়ার খেয়ে যায়। তাই তিনি আঙিনাটি লাল ফ্লাগে ঘিরে দেন অল্প সময়ের জন্য।

হাজারো পাখিদের খেতে দেওয়া হচ্ছে- সিল্কসিটিনিউজ।

সিল্কসিটিনিউজকে সমির কুমার বলেন, ২০১৫ সালে রাজশাহী বন বিভাগ থেকে ভালো কাজে স্বীকৃতি স্বরুপ তাকে সম্মাননা পুরস্কার দেওয়া হয়। পাখিদের খাবার নিজস্ব কারখানার তৈরি চানাচুর। প্রতিদিন প্রায় ২০ থেকে ২৫ কেজি চানাচুর খেতে দেওয়া হয় পাখিদের। খাবার তৈরির জন্য একজন আলাদা কর্মী রেখেছেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ সাত বছর আমি নিজের শখে পাখিদেরকে খাবার দেই। পাখিদের বন্ধু ভেবে এই দায়িত্ব পালন করে আসছি। হয়তো অন্যরাও আমার দেখে এমন কাজে আগ্রহী হবেন।’

 

স/আ