পাকিস্তান সীমান্তে ভারতীয় বিমান, অঃতপর আতঙ্ক!

ফের হামলা চালিয়েছে ভারতীয় বিমান বাহিনী। সীমান্তে পেরিয়ে করাচির আকাশে প্রবেশ করেছে বোমারু বিমান।

মঙ্গলবার রাতে এমন দাবিতেই হইচই পড়ে যায় পাকিস্তানে। গোটা ঘটনায় ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে বালাকোটে ভারতীয় বিমান হানার স্মৃতি মনে পড়ে যায় পাকিস্তান নেটিজেনদের। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টেও ২০১৯ এর বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের প্রসঙ্গ উঠে আসে।

২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বালাকোটে জইশ-ই-মোহাম্মদের ডেরায় আকাশপথে হামলা চালায় বিমান বাহিনী। পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার জবাব দিতেই ওই ‘সার্জিকাল স্ট্রাইক’ চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার।

প্রসঙ্গত, ২০১৯-এ বালাকোটে ভারতীয় বিমান বাহিনীর হানার সময় গোটা করাচির বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছিল বলে দাবি করা হয়। উদ্দেশ্য ছিল, ভারতীয় বিমান যাতে করাচিতে হামলা না চালায়। গতরাতে করাচির বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার ঘটনায় তাই বালাকোট-আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় বহু পাকিস্তানি ব্যবহারকারীর পোস্ট থেকে জানা যায়, পাকিস্তান  সীমান্তে ভারতীয় বিমান বাহিনীর বিমান উড়তে দেখা গেছে। যা থেকেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পাকিস্তানও সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে বলে দাবি সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে।

যদিও পাকিস্তান সেনা বা বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে বিবৃতি আসেনি। ভারতীয় পক্ষ থেকেও এই ধরনের কোনও তথ্য মেলেনি।

২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে ওয়েস্টার্ন ও সেন্ট্রাল এয়ার কম্যান্ডের একাধিক বিমান বাহিনীর ঘাঁটি থেকে একসঙ্গে ১২টি মিরাজ-২০০০ ভারতীয় বিমান উড়ে গিয়েছিল। একই সময়ে দিল্লি থেকে আকাশে উড়েছিল এয়ারবোর্ন আর্লি ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম বিমান।

মিরাজ-২০০০ বিমানগুলোকে নিখুঁত লক্ষ্যে পৌঁছে দিয়েছিল ওই বিমানটি। পাশাপাশি আগ্রা থেকে আকাশেই যুদ্ধবিমানে জ্বালানি ভরে দেয়ার জন্য আইএল-৭৮ নামে আরও একটি বিমান উড়ে যায়। তবে ওই দুটো বিমান সীমান্তের ওপারে যায়নি।

তারা পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কোনও জবাব দেয়া হল কিনা, সেদিকে নজর রাখছিল। গোটা অভিযানে ২০ মিনিটের একটু বেশি সময় লাগলেও সামরিক সূত্রে জানা গিয়েছিল, মাত্র দেড় মিনিটেই হানা শেষ হয়ে যায়। পাকিস্তানের এফ-১৬ বিমান চেষ্টা করলেও ১২টি মিরাজের সামনে আসার ঝুঁকি শেষপর্যন্ত নেয়নি।

সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছিল, গোটা অভিযানের পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। যদিও বরাবরই নয়াদিল্লির দাবি পুরোপুরি খারিজ করেছে পাকিস্তান।