সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
পাকিস্তানে ক্ট্টরপন্থা দমন ইস্যুতে সেনাবাহিনী ও সরকারের মধ্যে দ্বন্দ্ব নিয়ে এক রিপোর্ট প্রকাশের পর ইংরেজি দৈনিক ডনের সাংবাদিক সিরিল আলমেইদার দেশ ছাড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
মি আলমেইদা তার টুইটার অ্যাকাউন্টে লিখেছেন দেশের বাইরে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা তালিকায় তার নাম ঢোকানো হয়েছে।
আজ (সোমবার) ঐ সাংবাদিকের দুবাই বেড়াতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, তিনি বলছেন, গতকাল তাকে জানানো হয়, তাকে বিমানে উঠতে দেয়া হবেনা।
পাকিতানে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে দমন করার ইস্যুতে সম্প্রতি সেনাবাহিনী ও নেওয়াজ শরিফ সরকারের মধ্যে খুবই উঁচু পর্যায়ের এক বৈঠক নিয়ে পাকিস্তানের শীর্ষ দৈনিক ডনে এই সাংবাদিকের এক অনুসন্ধানী রিপোর্ট নিয়ে হৈচৈ পড়ে গেছে।
ঐ রিপোর্টে লেখা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে সেনাবাহিনী, বিশেষ করে পাকিস্তানের সেনা গোয়েন্দা আইএসআই কে খোলাখুলি সাবধান করা হয়েছে – সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে ঠিকমতো মোকাবেলা না করা হলে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক মহলে একঘরে হয়ে পড়েতে পারে।
কথিত ঐ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নেওয়াজ শরিফ এবং আইএসআই প্রধান লে. জে. রিজওয়ান আখতার উপস্থিত ছিলেন।
বেনামি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে সাংবাদিক সিরিল আলমেইদা লিখেছেন, ঐ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শরীফ ও তার ছোট ভাই এবং পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ অভিযোগ করেন, আইএসআইয়ের সাথে যোগাযোগের কারণে কয়েকটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠিীর বিরুদ্ধে ঠিকমত ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছেনা।
এমন কথাও ও রিপোর্টে লেখা হয় যে, আইএসআই প্রধানকে বলা হয়, পুলিশ সন্ত্রাসীদের আটক করলেও পরে আইএসআই তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
ভারত সবসময় অভিযোগ করে, যইশ-ই-মহম্মদ এবং লশকর-ই-তইবার মত কিছু গোষ্ঠী আইএসআইয়ের ছত্রছায়ায় রয়েছে।
কিন্তু রিপোর্টটি নিয়ে গত কদিন ধরে আলোড়ন চলার পর, সাংবাদিক সিরিল আলমেইদা যে কর্তৃপক্ষের রোষনালে পড়ে গেছেন তা ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ডনের ঐ রিপোর্ট মনগড়া। তবে ডন বলছে, তাদের রিপোর্ট সত্য এবং তারা এটাকে প্রত্যাহার করবে না।
সূত্র: বিবিসি বাংলা