সিল্কসিটিনিউজ বিনোদন ডেস্ক :
ভারতে কর্নাটক রাজ্যের একজন ফিল্ম অভিনেত্রী তথা রাজনীতিক রম্যা প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান ‘আদৌ নরক নয়’ বলে মন্তব্য করে দেশদ্রোহের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন।
সোশ্যাল মিডিয়াতে তার বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানানো হচ্ছে। পাশাপাশি কোডাগু-তে একজন আইনজীবী রম্যার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলাও দায়ের করেছেন, যার শুনানি হবে শনিবার।
কিছুদিন আগেই ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিক্কর মন্তব্য করেছিলেন পাকিস্তানে যাওয়া আর নরকে যাওয়া আসলে একই জিনিস।
তার সেই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়েই অভিনেত্রী রম্যা বলেন, ‘‘পাকিস্তান মোটেই নরক নয়। সেখানকার মানুষজনও ঠিক আমাদেরই মতো। তারা আমাদের খুবই আদরযত্ন করেছেন’।
সার্কের একটি প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে রম্যা সম্প্রতি পাকিস্তান সফরে গিয়েছিলেন – তার সেই সফরের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই তিনি এই মন্তব্য করেন।
এই ধরনের পরিস্থিতিতে দু:খ প্রকাশ করে নেওয়াটাই সব চেয়ে সহজ, কিন্তু আমি তা করব না। আমি একটা নির্দোষ মন্তব্য করেছি মাত্র, এর জন্য ক্ষমা চাইতে যাব কেন? রম্যা, অভিনেত্রী ও রাজনীতিক
কিন্তু ৩৩ বছর এই অভিনেত্রী – যার আসল নাম দিব্যা স্পন্দনা – এই মন্তব্য করার পর থেকেই ফেসবুক ও টুইটারে তাকে গালাগাল দেওয়া শুরু হয়েছে। ভারতে অনেকেই তাকে ‘বেইমান’ ও ‘দেশদ্রোহী’ বলে চিহ্নিত করছেন।
এতেই শেষ নয়, কাটনামানে ভিট্টল গৌড়া নামে একজন আইনজীবী অভিনেত্রী রম্যার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহ আইনে মামলাও ঠুকে দিয়েছেন। এ সপ্তাহের শেষ দিকে তাকে সেই মামলার শুনানিতে হাজিরাও দিতে বলা হয়েছে।
অভিনেত্রী রম্যা, যিনি আগে কংগ্রেস দলের বিধায়কও ছিলেন, তিনি অবশ্য এই চাপের মুখেও নতি স্বীকার করতে রাজি হননি।
ভারতের একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে তিনি বলেছেন পাকিস্তান নিয়ে তার মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইবার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।
রম্যা বলেন, ‘‘এই ধরনের পরিস্থিতিতে দু:খ প্রকাশ করে নেওয়াটাই সব চেয়ে সহজ, কিন্তু আমি তা করব না। আমি একটা নির্দোষ মন্তব্য করেছি মাত্র, এর জন্য ক্ষমা চাইতে যাব কেন?’’
‘‘যারা ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে তারা আইনের পথে আছে – আর যারা দুদেশের মানুষকে কাছাকাছি আনতে চাইছে তাদের কীভাবে বেআইনি বলা হচ্ছে?’’, সে প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।
সূত্র:বিবিসি