পাকিস্তানের দাবি মেনে প্রিয়াংকাকে বহিষ্কার করবে না জাতিসংঘ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

জাতিসংঘ বলেছে, শুভেচ্ছা দূতরা ব্যক্তিগত সক্ষমতার মধ্য দিয়ে এমন ইস্যুতে কথা বলার অধিকার রাখেন, যেটি তাদের আগ্রহের কিংবা উদ্বেগের।

বলিউড অভিনেত্রী ও ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত প্রিয়াংকা চোপড়া জোনাসের যুদ্ধ উসকে দেয়ার মন্তব্যের প্রসঙ্গে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্ফিফেন ডুজারিক এমন দাবি করেছেন।-খবর ডন অনলাইনের

গত ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের বালাকোট শহরের বাইরে ভারতীয় বিমানবাহিনীর বোমা হামলার পর টুইটারে প্রিয়াংকা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পরমাণু যুদ্ধের উসকানি দিয়ে মন্তব্য করেছেন বলে এক মানবাধিকারকর্মী অভিযোগ করেন।

পরবর্তী সময়ে জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূতের পদ থেকে প্রিয়াংকাকে সরাতে চিঠি লিখেছেন পাকিস্তানের মানবাধিকারবিষয়ক মন্ত্রী শিরীন মাজারি।

বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নে স্টিফেন ডুজারিক বলেন, ভালো। আমি মনে করি, আমি আপনাকে বলতে পারি- যেকোনো শুভেচ্ছা দূত, হোক সেটি প্রিয়াংকা চোপড়া কিংবা অন্য কেউ। যখন ইউনিসেফ কিংবা অন্য সংগঠন নিয়ে মন্তব্য করবেন, তখন নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখবেন।

‘কিন্তু যখন তারা ব্যক্তিগত সক্ষমতার মধ্য থেকে কথা বলছেন, তখন তাদের আগ্রহ কিংবা উদ্বেগের বিষয়ে কথা বলার অধিকার তারা রাখেন,’ বললেন গুতেরেসে মুখপাত্র।

তিনি বলেন, জাতিসংঘের সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকলেও তাদের ব্যক্তিগত মতামতে সংস্থার দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন ঘটবে না।

চলতি মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের লসঅ্যাঞ্জেলেসে বিউটিকন অনুষ্ঠানে আয়েশা মালিক নামে এক পাকিস্তানি মানবাধিকারকর্মীর প্রশ্নে প্রিয়াংকার জবাবের পর সামাজিকমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে।

প্রশ্নে আয়েশা মালিক তাকে প্রতারক ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পরমাণু যুদ্ধ উসকে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন।

প্রিয়াংকা তার প্রশ্নকে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বলে আখ্যায়িত করেন। আয়েশার প্রশ্নের জবাব না দিয়ে তিনি বলেন, পাকিস্তানের প্রচুর বন্ধু আছে আমার। আমি ভারত থেকে এসেছি। যুদ্ধ এমন কিছু না, যাতে আমি অনুরক্ত।

এর পর নিজেকে দেশপ্রেমিক হিসেবে আখ্যায়িত করেন তিনি।